সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রগ্রহণের (Chandra Grahan) সময় খাওয়া নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ ওড়িশায় (Odisha)। দু’টি আলাদা ঘটনা ঘটে বেহারামপুরে (Berhampur) ও ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar)। নিজেদের যুক্তিবাদী দাবি করা কয়েকজন মঙ্গলবার গ্রহণের মধ্যে এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করেন। আপত্তি তোলে স্থানীয় রক্ষণশীল তথা হিন্দুত্ববাদীরা। এর পরই বচসা থেকে বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। পোস্টার ছেঁড়া, মারধর, গোবর ছোঁড়া চলে দুই পক্ষে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। অশান্তি বাধানোর অপরাধে ১২ জনকে আটক করা হয়।
ভুবনেশ্বরের লোহিয়া আকাদেমি চত্বরে চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে যুক্তিবাদী একটি দল বিরিয়ানি ভোজনের আয়োজন করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে এই আয়োজন। যদিও হিন্দুত্ববাদীরা সেকথা মানতে চাননি। বজরং দল, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও স্থানীয় ব্রাহ্মণ সমাজের সদস্যরা যুক্তিবাদীদের কাজে আপত্তি তোলে। এর পরই বচসা শুরু হয়। যুক্তিবাদীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তারা। উভয় পক্ষে ধুন্ধুমার বাধে।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল যোগ্য, তবে ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঠিক করবে সম্মিলিত বিরোধীরা’, উলটো সুর গেহলটের]
জানা গিয়েছে, ওই দিন কতকটা একই ধরনের ঘটনা ঘটে বেহারামপুরে। একদল লোক জড়ো হয়ে অন্য গোষ্ঠীর খাবারের দোকানে ভাঙচুর করে, তাদের পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা চন্দ্রগ্রহণের সময় রাস্তায় পাশের খোলা দোকানগুলিতে ভাঙচুর চালায়। নিজেকে ‘যুক্তিবাদী’ দাবি করা এক মহিলা বলেন, ‘মুসলিমদের দীর্ঘ এক মাসের রোজার বিরোধিতা করুন, তারা তো চাঁদ দেখে সন্ধ্যায় খাওয়দাওয়া করেন। গণেশ দাস নামে এক যুক্তিবাদী বলেন, “আমি রাজ্য সরকার ও পুলিশকে দোষ দেব। পুলিশ জানত এলাকায় টেনশন হবে। তবুও ব্যবস্থা নেয়নি।” স্থানীয় সিপিআই নেতা নারায়ণ রেড্ডির দাবি, যুক্তিবাদী তিনজন পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গে ঝাঁটার হাতল ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে খুন! হরিয়ানার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য]
এই বিষয়ে বেরহামপুর এসপি অসীম পাণ্ডা বলেন, “চন্দ্রগ্রহণের সময় খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অশান্তি বাধানোয় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম ভাবে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।