shono
Advertisement

বিরতির পর ফের শুরু কৃষক বিক্ষোভ, ‘আলোচনাতেই হবে সমাধান’, দাবি অনুরাগ ঠাকুরের

যদি কাতার থেকে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের ফেরানে যায়, তবে এটাও সম্ভব, দাবি অনুরাগের।
Posted: 11:04 AM Feb 14, 2024Updated: 11:07 AM Feb 14, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভে (Farmer’s Protest) মঙ্গলবার উত্তাল হয়েছিল হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির সীমানা এলাকা। প্রতিবাদীদের রুখতে ড্রোন থেকে লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। যদিও তাঁদের দমিয়ে রাখা যায়নি। মধ্য রাতের বিরতির পর বুধবার সকালে ফের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করেছে কৃষকরা। এর মধ্যেই নতুন করে কৃষক নেতাদের আলোচনায় প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। তাঁর দাবি, কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের যদি দেশে ফেরানে যায়, তবে আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুই সম্ভব।

Advertisement

মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অনুরাগ জানান, কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, যেহেতু নতুন চাহিদার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরামর্শ, প্রতিবাদ যেন হিংসাত্বক না হয়। এর পরেই কাতারের প্রসঙ্গ টেনে অনুরাগ বলেন, “যদি কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের দেশে ফেরানো যায়, অপরেশন গঙ্গার মাধ্যমে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ২৭ হাজার ভারতীয়কে দেশের মাটিতে ফেরানো সম্ভব হয়, কোভিড মহামারীর সময় কয়েক কোটি ভারতীয়কে ঘরে ফেরানো যায়, তবে এটাও সম্ভব। মনে রাখতে হবে সব ক্ষেত্রেই সাফল্য এসেছিল আলোচনার মাধ্যমে। আমার অনুরোধ, কৃষক ভাইরা আসুন এবং আলোচনায় বসুন।”

 

[আরও পড়ুন: বিলকিস মামলায় সরকারকে ‘কুমন্তব্য’! সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতেই গুজরাট]

অনুরাগ দাবি করেন, “সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গভীর রাত অবধি কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন। যদিও ওই প্রতিনিধিরা দেখা করেননি। আলোচনা হওয়া উচিত। নতুন চাহিদার কারণে আলোচনা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তাঁরা চায় না যে আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অংশ হই, তাঁরা চায় আমরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করি।” আরও বলেন, “কৃষকদের দাবি, খড় পোড়ানোকে দূষণের দৃষ্টিকোণ দেখা যাবে না। এছাড়াও কৃষকদের বিদ্যুৎ বিলের আওতার বাইরে রাখতে হবে।”

 

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কনভয়ে ঢুকে পড়ল গাড়ি, শাহজাহানের চক্রান্ত! অভিযোগ রাজভবনের]

কৃষকরা নেতারা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাদের দাবি সরকার পক্ষ তাঁদের কোনও দাবিই শুনতে রাজি নয়। এমনকী কৃষক বিক্ষোভের উপর জুলাম চালাচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার গভীর রাতেও কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তবে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল তাঁরা। সাফ জানাচ্ছেন, অন্তত ছমাস ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার মতো রশদ নিয়েই দিল্লির পথে রওনা হয়েছেন। এবার শেষ দেখে ছাড়বেন। ফলে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে জোর কদমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এর ফলে দিল্লি শহরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement