সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকলের বেতন বেড়েছে। কিন্তু তাঁর বাড়েনি। সংস্থার কাছে অনুরোধ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উপরন্তু দিনের পর দিন কাজ চাপ বেড়েই চলেছে। নাওয়া-খাওয়ার সময়টুকুও মেলে না। এই ক্ষোভেই সংস্থার বাসে লাগুন লাগিয়ে দিলেন চালক! ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হল সংস্থার চার কর্মী। গুরুতর আহত আরও ছয়। এই ঘটনা পুণের হিঞ্জেওয়াড়িতে।

জানা গিয়েছে, বুধবার একটি বাস রাস্তার মাঝখানে হঠাৎই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল এসি বাস হওয়ার কারণে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরেছে। কিন্তু চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চালকের নাম জনার্দন হাম্বার্ডিকার। হিঞ্জেওয়াড়ির ওই গ্রাফিক সংস্থার বাস চালাতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের অভিযোগ, সকলের বেতন বাড়লেও, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বেতন বাড়ানো হচ্ছিল না। কাজের এতটাই চাপ যে ঠিকমতো খাবার খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হত না। কয়েকদিন ধরেই এনিয়ে তিনি ক্ষোভে ফুঁসছিলেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এদিন কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে জানাচ্ছিলেন জনার্দন। মাঝ রাস্তায় আচমকাই বাসে আগুন ধরে যায়। তখন ভিতরে ১৪ জন কর্মী ছিলেন। সেখানেই ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয় চারজনের। ছয় কর্মী গুরুতর আহত হন। আর বাকি চারজন জানলা ভেঙে কোনও রকমে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিকল্পনা করে বাসের ভিতর আগে থেকেই বেঞ্জিম সলিউশন নামে একটি রাসায়নিক রেখে দিয়েছিলেন জনার্দন। কর্মীদের নিতে যাওয়ার আগে দোকান থেকে দেশলাই কিনে নিয়ে বাসে ওঠেন। তার পর একটি কাপড়ের টুকরো ওই রাসায়নিক দিয়ে ভিজিয়ে নেন। এরপর সকল কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে সংস্থায় নিয়ে আসার সময় রাসায়নিক ভেজানো ওই কাপড়ে আগুন লাগিয়ে বাসের ভিতরে ছুড়ে দেন। মুহূর্তে জ্বলে ওঠে বাসটি। লাফ দিয়ে বাস নেমে যান জনার্দন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত।