সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানায় ফিরল পাঁচ দশক আগের জরুরি অবস্থার স্মৃতি। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফাঁকা সম্পাদকীয় পাতা প্রকাশ করল স্থানীয় একটি উর্দু দৈনিক সংবাদমাধ্যম। তাঁদের দাবি, সরকারি ব্যর্থতা তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য রেবন্ত রেড্ডির কংগ্রেস সরকার তাঁদের দেওয়া সরকারি বিজ্ঞাপনের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।
হায়দরাবাদ থেকে প্রকাশিত উর্দু দৈনিক, 'দ্য মুনসিফ ডেইলি' বৃহস্পতিবার সম্পাদকীয় পাতা ফাঁকা রেখে প্রকাশিত হয়েছে। 'দ্য মুনসিফ ডেইলি'র সম্পাদক আথের মইনের বক্তব্য, "আমাদের সংবাদপত্র পুলিশের ব্যর্থতা, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, পরিত্যক্ত মসজিদ ভাঙার মতো ইস্যু জনমানসে তুলে ধরেছে। মন্ত্রিসভায় মুসলিম সদস্যদের জায়গা না দেওয়া, ইমাম-মোয়াজ্জেমদের বেতন বকেয়া থাকার মতো ইস্যুতে রেবন্ত রেড্ডির সরকারের বিরোধিতা করেছি। সেই 'অপরাধে' সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়েছে।"
ওই সংবাদপত্রের দাবি, ভারতের প্রায় সব উর্দু সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরোধিতা করে। কিন্তু কারও বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয় না। যেটা কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা সরকার করল। ওই সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক বলছেন, "১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিলেন। পারেননি। তাঁর দল একই ভুল আবারও করছে। সবার জানা উচিত এখনও তলোয়ারের চেয়ে কলমের শক্তি বেশি।" একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেছে ওই সংবাদমাধ্যম। তাঁদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী বিদেশে গিয়ে ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন। অথচ তাঁর দলই উলটো পথে হাঁটছে।
'দ্য মুনসিফ ডেইলি'র স্পষ্ট কথা, "যদি রেবন্ত রেড্ডির সরকার যদি মনে করে চাপ দিলে তাঁরা নীতি বদলে সরকারের প্রশংসা করবে, সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরব না। তাহলে ভুল ভাবছেন। আমরা আমাদের কাজটা করবই।" তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের তরফে অবশ্য এখনও এ নিয়ে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি।