সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মধ্যে ‘কুলীন’ ট্রেন বলে পরিচিত রাজধানী (Rajdhani Express), শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেস। ভাড়াও আকাশছোঁয়া। এবার সেই কুলীনত্বকে টেক্কা দিচ্ছে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।’ রেলকর্তাদের মতে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) গতি এবং যাত্রী স্বচ্ছন্দ দুই ক্ষেত্রেই দুরন্ত এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো তথাকথিত কুলীন ট্রেনগুলিকে টেক্কা দিচ্ছে।
কী পার্থক্য আর পাঁচটা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে বন্দে ভারতের?
গতি: সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যদিও এই মুহূর্তে ভারতের কোনও লাইনেই এই গতিতে চলছে না বন্দে ভারত। এই মুহূর্তে ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকছে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। গড়ে ট্রেনটি চলবে ১১০ কিলোমিটার গতিতে। ধীরে ধীরে বন্দে ভারতের গতি আরও বাড়ানো হতে পারে। রাজধানী, শতাব্দীর (Shatabdi Express) মতো ট্রেনগুলিও অবশ্য সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমটার গতিতে চলতে পারে। তবে এই ট্রেনগুলির গড় বন্দে ভারতের থেকে সামান্য কম।
[আরও পড়ুন: মনেপ্রাণে কংগ্রেসি, ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হতে সাইকেলে সাগর থেকে কার্শিয়াং যাচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব কর্মী]
ব্রেক: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি অন্য সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের থেকে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এর ব্রেকিং সিস্টেম আরও উন্নত করতে হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাডভান্সড রিজেনেরেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে ট্রেন অনেক দ্রুত থামানো যাবে। আবার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বাড়াতে পারে।
কোচ: ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দুর্ঘটনা রুখতে বিশেষভাবে কার্যকর। এই কোচগুলি সাধারণ রেলের কোচের থেকে অনেক হালকা। যা এই ট্রেনটিকে দ্রুত ছুটতে সাহায্য করবে। ট্রেনের দুই দিকেই থাকছে লোকো পাইলটের কেবিন। ফলে প্রান্তিক স্টেশনে সহজেই ঘুরিয়ে ফেলা যাবে ট্রেনগুলি।
যাত্রী সুরক্ষা: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রী সুরক্ষায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের বাইরে প্ল্যাটফর্মের দিকে চারখানা ক্যামেরা লাগানো থাকবে। যাতে প্ল্যাটফর্মের গতিবিধি দেখা যাবে। ট্রেনের চালকরা নিজেদের মধ্যে বার্তা চালাচালি যেমন করতে পারবেন, তেমন যাত্রীদের সঙ্গেও বার্তা চালাচালির ব্যবস্থা রয়েছে নতুন এই ট্রেনে।
[আরও পড়ুন: গাড়িতে গুলিবিদ্ধ হলেও মেলেনি রক্তের দাগ, স্বামীর বক্তব্যেও অসংগতি! বাগনানে অভিনেত্রী খুনে নয়া মোড়]
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য: বন্দে ভারত এক্সপ্রসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনটির এক্সিকিউটিভ কামরাতে সিট সংখ্যা ৫২। এই কামরার সিট ১৮০ ডিগ্রি ঘুরবে গতিমুখ অনুযায়ী। অন্যান্য ট্রেলার কামরাতে ৭৮টি করে সিট থাকছে। থাকছে ডিফিউজাল লাইটিং ব্যবস্থা, ইনফরমেশন বোর্ড, ওয়াই ফাই সুবিধা, ভ্যাকুয়াম টয়লেট, প্রতিবন্ধী বান্ধব টয়লেট, জিপিএসে প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম ইত্যাদি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে৷ প্রত্যেক সিটে লাগানো থাকবে ৩২ ইঞ্চির স্ক্রিন। যাতে যাবতীয় তথ্য দেখা যাবে।
ভাড়া: বাড়তি পরিষেবাগুলির জন্য যাত্রীদের ট্যাক থেকে বাড়তি কড়িও ফেলতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে অন্যন্য সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির তুলনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া হতে পারে ১.৩ গুণ থেকে ১.৪ গুণ পর্যন্ত। রুট বিশেষে এই ভাড়া আরও বাড়তে পারে।