Modi-Mamata Meet: আরও বেশি টিকার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, সরব রাজ্যের নাম বদল ইস্যুতেও

07:35 PM Jul 27, 2021 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বঙ্গযুদ্ধে’র পর ফের মুখোমুখি মোদি-মমতা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা হল দু’জনের। আলোচনায় উঠে এল একাধিক ইস্যু, দাবিদাওয়া। পেগাসাস থেকে রাজ্যের জন্য কোভিড টিকা চাওয়া, বাংলার নাম পরিবর্তনের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন দু’জনের মধ্যে কথা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কথা নিজেই জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banejee)। তবে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন, তা অবশ্য জানাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

একুশে বাংলার ভোটপ্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগেছেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর পর কলাইকুণ্ডায় কিছুক্ষণের জন্য দেখা হয়েছিল দু’জনের। তবে সেই বৈঠক নিয়েও বিতর্ক হয় বিস্তর। একাধিক ইস্যুতে চরমে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। আর সেই আবহেই চার দিনের দিল্লি সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সাংসদ, অবিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) সঙ্গেও বৈঠক সারেন তিনি।

 

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: Pegasus: অমিত শাহের বাড়ির সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার দিল্লিতে]

বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান, “ভোটের পর তো আসা হয়নি। তাই প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলাম।” কী কথা হল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান,  “করোনা নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে কোভিড টিকার কথা বলেছি। অন্য রাজ্য ভ্যাকসিন পাক, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জনসংখ্যার অনুুপাতে বাংলা কম টিকা পেয়েছে। তাই আরও বেশি টিকা চেয়েছি।”

এদিনের বৈঠকে রাজ্যের নাম বদল ইস্যু নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক বছর আগেই রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বদলে নাম হোক বাংলা। কিন্তু কেন্দ্রের সম্মতি না মেলায় সেই বদল আটকে রয়েছে। এদিন নামবদল প্রক্রিয়া দ্রুত শেষের আর্জি জানান মমতা।

[আরও পড়ুন: ‘সংসদ চলতে দিচ্ছে না, বিরোধীদের মুখোশ খুলে দিন,’ BJP সাংসদদের নির্দেশ Modi’র]

পাশাপাশি পেগাসাস অর্থাৎ ফোনে আড়ি পাতা ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকারও আরজিও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়,  “পেগাসাস ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিৎ প্রধানমন্ত্রীর। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত করা হোক।”

 

Advertisement
Next