সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তাঁদের পড়াশোনা শেষ করার সুযোগ করে দেবে সরকার। এ বিষয়ে তিনি নিজে কেন্দ্র সরকার এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (NMC) দ্বারস্থ হবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন বলা তেমন কাজ। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের দুশ্চিন্তা দূর করতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে চারটি অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা ভাল, কেন্দ্রের কাছে চারটি প্রস্তাব রেখেছেন মমতা।
১। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী যে সমস্ত পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাদের সরকারি কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ইন্টার্নরা যে সরকারি ভাতা পান, সেটাও ইউক্রেন ফেরতদের দেওয়া হোক।
২। যে সব পড়ুয়া প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষের মতো স্তরে পড়াশোনা করছিলেন, তাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সমমানের স্তরে ভরতি করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে এই মেডিক্যাল কলেজগুলি যাতে ইউক্রেনের পড়ুয়াদের ভরতি করার জন্য নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হোক।
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের জন্য বদলাতে পারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন, বিধানসভায় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর]
৩। বর্তমানে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র যে সব পড়ুয়া প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁরাই দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভরতির সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, কঠিন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই গাইডলাইন শিথিল করা হোক।
৪। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার ব্যপারে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার এই পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে সাহায্যও করবে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা সুযোগ পাবে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজেই, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ৩৯১ জন পড়ুয়া বাংলায় ফিরেছেন। নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভীষণভাবে চিন্তিত এই পড়ুয়ারা। সব পড়ুয়া নিজেদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল, প্রচুর অর্থও ব্যয় করেছে। কিন্তু এখন তাঁরা গভীর সংকটে। রাজ্য সরকার এদের সংকট নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর এটা যেহেতু জরুরি পরিস্থিতি, তাই এ বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা।