সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীর আশঙ্কা আগেই ছিল। গত বছরই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করেছিল ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন বা হু। আশঙ্কা সত্যি করে এবার ভারতেও খোঁজ মিলল জিকা ভাইরাসের। আহমেদাবাদে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। আক্রান্তদের মধ্যে আছেন বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মহিলাও।
[ জুলাইয়ের শেষেই রাজনৈতিক দল গড়ছেন রজনীকান্ত! ]
আহমেদাবাদের বাপুনগর এলাকায় তিনটি ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলেই জানাচ্ছে গৃহ ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধ দিন আষ্টেক ধরে ভুগছিলেন। প্রথমে ডেঙ্গু বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় তা নয়। এরপরই জিকা-র সন্দেহ দানা বাঁধে। এবং পরীক্ষায় তার অস্তিত্বও প্রমাণিত হয়। ৩৪ বছরের এক মহিলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে বছর বাইশের এক গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হলেও তাঁর রক্তেও জিকা ভাইরাস পাওয়া যায়। মূলত ডেঙ্গু ও চিকেনগুণিয়া ছড়ায় যে মশা, তার থেকেই ছড়িয়ে পড়ে জিকা-ও।
গতবছর ব্রাজিলে প্রায় মহামারী বয়ে এনেছিল এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। ক্রান্তীয় অঞ্চলে মশার উপদ্রব বেশি হওয়ার কারণে এই ভাইরাসের দৌরাত্মও বেশি। ভারতকেও সে সময় সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও ভারতে এই প্রথমবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলল। যদিও এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা খুবই ধীর। কিন্তু ভবিষ্যতে তা দ্রুতহারে ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। হু-এর পরামর্শ, একেবারে মশাকে নির্মূল করলেই জিকা-র হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে। লার্ভা অবস্থাতেই মশার বংশ ধ্বংস করতে বিশেষ রাসায়নিক বা পেস্টিসাইড ব্যবহারেরও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
[ দিল্লির স্বাস্থ্য দপ্তরে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ফের কপিলের নিশানায় কেজরি ]
গুজরাটে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষাগারগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। কোন কোন অঞ্চলে এর প্রকোপ থাকতে পারে, তা জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিমানবন্দরে এখনও কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। মশা মারতে স্বাভাবিকভাবে যা করা হয় তা করা হচ্ছেই। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্য নেওয়ারও পরিকল্পনা আছে।
মশার হাত থেকে বাঁচতে ‘হু’ সাধারণ মানুষকেও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে, বিশেষত গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে। রিপিলেন্টের ব্যবহার, হালকা রঙের লং স্লিভড পোশাক পরা, বাড়ির চারপাশ পরিছন্ন রাখা এবং কোনওভাবে ঘরে যাতে মশা না ঢুকতে পারে সেদিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। জিকা-র প্রকোপ অল্পমাত্রায় বলেই এখনও ভারতে আসা বা ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ‘হু’।
[ জানেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোন কৃতিত্বটি শুধু মোদিরই? ]
The post দেশে প্রথমবার থাবা Zika ভাইরাসের, নিশ্চিত করল WHO appeared first on Sangbad Pratidin.