shono
Advertisement

বিতর্ক এড়াতেই কি সবরীমালার নিরাপত্তায় পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা পুলিশ?

দক্ষতার ভিত্তিতেই নিয়োগ, সাফাই প্রশাসনের৷
Posted: 03:09 PM Nov 06, 2018Updated: 03:17 PM Nov 06, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সোমবার থেকেই খুলে গিয়েছে সবরীমালা মন্দির৷ বিক্ষোভের আঁচে মন্দির চত্বরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ তবে এই প্রথম আয়াপ্পা মন্দিরের দরজায় প্রহরায় নিয়োগ করা হয়েছে মহিলা পুলিশ কর্মীদের৷ আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স পঞ্চাশের উপর৷ যদিও এই বিতর্কে কর্ণপাত করছেন না রাজ্যের পুলিশ কর্তারা৷ তাঁদের দাবি বয়স নয়, দক্ষতার ভিত্তিতেই ওই মহিলা পুলিশ কর্মীদের মন্দিরের প্রহরায় নিয়োগ করা হয়েছে৷

Advertisement

[আরবিআইয়ের সঞ্চিত টাকায় নজর কেন্দ্রের! নারাজ শীর্ষ ব্যাংক]

 

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মন্দিরের নিরাপত্তায় নিয়োগ করা হয়েছে ১৫ জন মহিলা পুলিশ কর্মীকে৷ কেবল নিরাপত্তাই নয়, স্বামী আয়াপ্পার পুজোও দিয়েছেন তাঁরা৷ সবরীমালা মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কেরল পুলিশের আইজি অজিত৷ তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এই পুজো দেখতে এবং আয়াপ্পার পুজো দিতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ সবরীমালায় ভিড় জমাচ্ছেন৷ ফলে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই মন্দির চত্বরে দক্ষ পুলিশ কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয়েছে৷ এই ১৫ জন মহিলা পুলিশও সেই দক্ষ কর্মীদের মধ্যে পড়ে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সবরীমালা মন্দির চত্বর৷ রায়ের বিরোধিতা করে মন্দির অবরুদ্ধ করেছেন আয়াপ্পার অগণিত ভক্তরা৷ যা সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে কেরল সরকারকে৷ পুলিশের সঙ্গে ভক্তদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে দু’হাজারেরও বেশি৷

[লোকসভার আগে বড় ধাক্কা, কর্ণাটকের উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির]

রীতি অনুযায়ী সবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই৷ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশের অধিকার দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ তার পর থেকেই কেরলজুড়ে অশান্তি শুরু হয়৷ রায়ের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে আয়াপ্পা ভক্তরা৷ সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর গত ১৭ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ভক্তদের জন্য খুলেছিল সবরীমালার দরজা৷ রায়ের উপর ভিত্তি করে মন্দিরে ঢোকার চেষ্টাও করেন কয়েকজন মহিলা৷ কিন্তু, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলাই এখনও মন্দিরে ঢুকতে পারেননি৷ ‘সবরীমালা কর্ম সমিতি’র প্রবল চাপে ফিরতে বাধ্য হন তাঁরা৷ সোমবার দ্বিতীয় দফায় মন্দির খোলা নিয়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেরল সরকার। মন্দিরের আশপাশেও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হয়েছে৷ মঙ্গলবারেও কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনার খবর আসছে৷ ঘটনায় জখম হতে হয়েছে বেশ কয়েকজন সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement