বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill) পাশ হয়ে গিয়েছে প্রায় বিনা বিরোধিতায়। এবার তার ফায়দা ভোটবাক্স পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রচারে ঝাঁপাতে হবে। বাংলার বিজেপি সাংসদদের এমনই নির্দেশ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। আগামী দেড় মাস টানা প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলকেও প্রচারে নামতে হবে। বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের কাছে গিয়ে মহিলা সংরক্ষণ বিলের উপযোগিতা বোঝানোর নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বাংলায় এই আইনের ফায়দা কতখানি তোলা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয়ে গেরুয়া শিবির। কারণ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-সহ একাধিক প্রকল্পের ফলে বাংলায় মহিলাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। সেই জনপ্রিয়তায় আদৌ ভাগ বসানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান বঙ্গ বিজেপি (BJP)।
সবে বুধবার লোসভায় ও বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তা পাশ হতেই বিলের ফায়দা তুলতে রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও দলের কৃতিত্ব প্রচারে ঝাঁপাতে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে বিলের প্রচারে একাধিক হেভিওয়েট নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আগামী দেড় মাস ধরে প্রচার কর্মসূচি চালাতে হবে। বাংলার প্রতিটি বুথে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের কাছে গিয়ে বিলের কার্যকারিতা নিয়ে বোঝাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, দেড় মাস প্রচারাভিযান চলবে। কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরাও আসবেন।
[আরও পড়ুন: ২০০ কোটি কর ফাঁকির অভিযোগ, দেশজুড়ে লাক্সের নানা অফিসে হানা আয়কর দপ্তরের]
তবে বাংলার গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের মধ্যে এর প্রভাব কতখানি পড়বে, তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংসদ জানান, এমনিতেই মহিলাদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনপ্রিয়তা অটুট। গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভেটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট। এর পিছনে অন্যতম কারণ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র মতো জনহিতকর প্রকল্প।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের নয়া ‘উপহার’ বিজ্ঞানীদের, আসছে ই-ট্রাক্টর, একবার চার্জ দিলে চলবে ৪ ঘণ্টা]
লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে যখন মহিলাদের অ্যাকাউন্টে অর্থ ঢুকবে, তখন এই বিলের কথা মনে রাখবেন না গ্রামের মহিলারা। তার উপর বিলে লোকসভা ও বিধানসভায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই গ্রামের মহিলাদের কাছে এর কোনও গুরুত্ব নেই। পঞ্চায়েতে হলে তবে কিছুটা ফায়দা তোলা সম্ভব হতো। কিন্তু তা আগেই হয়ে গিয়েছে। দল মনে করছে, যেসব মহিলারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাঁদের মধ্যে বিল নিয়ে উৎসাহ থাকলেও আমজনতার মধ্যে প্রভাব কতখানি পড়বে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।