সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি ও সিবিআই হাতে থাকলে মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ (Amit Shah) ও গৌতম আদানিকে (Goutam Adani) গ্রেপ্তার করিয়ে ফেলতেন- এমনই দাবি করলেন আপ বিধায়ক সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) গ্রেপ্তারির পর বিক্ষোভ দেখানোর কারণে আটক করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। সোমবার মুক্তি পেয়েই এহেন বিস্ফোরক দাবি করেন আপ বিধায়ক।
আবগারি মামলায় রবিবার গ্রেপ্তার হন সিসোদিয়া। তারপরেই আপ (AAP) কর্মী সমর্থকরা সিবিআই (CBI) দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানেই আটক করা হয় সঞ্জয়কে। সোমবার মুক্তি পেয়ে তাঁর দাবি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গায়ে কাদা ছুঁড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপ নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: এবার নারীশিক্ষা রুখতে পড়ুয়াদের বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ, ইরানে অসুস্থ শ’খানেক ছাত্রী]
সঞ্জয় বলেন, “দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছেন মোদি। কেজরিওয়ালের নামে কুৎসা করছেন তিনি। যেভাবে সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। যদিও তাতে কেজরিওয়ালের কোনও অসুবিধা হবে না। মোদির একনায়কতন্ত্র খুব তাড়াতাড়িই শেষ হবে।”তারপরেই বিস্ফোরক অভিযোগ এনে সঞ্জয়ের দাবি, “ইডি (ED) আর সিবিআই যদি আমার সঙ্গে থাকত, তাহলে দু’ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিতাম। কারণ তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের ক্ষমতা থাকলে যা খুশি তাই করা যায়।”
অন্যদিকে, আপের অভিযোগ, দেশে জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে বিজেপি। দলের ৮০ শতাংশ নেতাকেই বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি কাউকে আটকে রাখা যায় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আপের জাতীয় মুখপাত্র। তবে দিল্লি পুলিশের দাবি, রবিবারেই আটক নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পাঁচদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখা হবে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে।