সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে অস্ত্রপাচার। এই পাচারকারীদের থেকেই অস্ত্র সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো। ফলে বাড়ছে নাশকতার ঘটনা। এনিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব হল ভারত। দিল্লির প্রতিনিধির সাফ বার্তা, সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা হবে না। সকলকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, পরোক্ষে কানাডা ও পাকিস্তানকেই একহাত নিয়েছে ভারত।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘেরর (United Nation) নিরাপত্তা পরিষদে একটি বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উঠে আসে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ। যা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, “বিশ্বজুড়ে অস্ত্রপাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। পরিষদের উচিত কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত না করা। ছোট ও স্বল্প ওজনের অস্ত্রশস্ত্রের অপব্যবহার রুখতে পদক্ষেপ করা দরকার।”
[আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার অধিকার নেই পুলিশ ও ফৌজদারি আদালতের: কর্নাটক হাই কোর্ট]
কম্বোজ আরও বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। আমরা জানি এটা কতটা ভয়ংকর। সীমান্তে ছড়াচ্ছে বেআইনি অস্ত্রপাচারের জাল। আমাদের সীমান্তেও অস্ত্রের চোরাচালান হচ্ছে। এমনকী এখন ড্রোনেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সমস্ত কাজকারবার কোনও রাষ্ট্রের মদত ছাড়া সম্ভব নয়।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরোক্ষে কানাডা ও পাকিস্তানকেই একহাত নিয়েছে ভারত। সম্প্রতি খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় চরমে পৌঁছেছে কানাডা-ভারত সংঘাত। দিল্লির অভিযোগ কানাডা থেকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে খলিস্তানিরা।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan)। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের খালিস্তান জঙ্গিদেরও নানাভাবে সাহায্য করছে। গত জুন মাসে ড্রোনের মাধ্যমে পাঞ্জাবের মাটিতে অস্ত্র ফেলেছিল পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে গ্যাস হামলার জন্য দায়ী বেকারত্ব’, মোদির নীতিকে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল]