shono
Advertisement

লাদাখে যুদ্ধের পরিস্থিতি, মায়ানমার সফর বাতিল করলেন সেনাপ্রধান নারাভানে

সফর বাতিল করেছেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও।
Published By: Monishankar ChoudhuryPosted: 06:18 PM Jan 15, 2020Updated: 12:05 PM May 16, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে ক্রমেই বাড়ছে প্রবল সংঘাতের আশঙ্কা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা আগ্রাসনে রীতিমতো ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। এহেন সংকট কালে মায়ানমার সফর বাতিল করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে মোতায়েন হবে শতাধিক রকেট লঞ্চার, দেশীয় তিন সংস্থাকে ২৫০০ কোটির বরাত]

বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ২৯ ও ৩০ আগস্ট রাতে লাদাখের প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনা বাহিনী। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে দুই সেনার কমান্ডার স্তরে আলোচনা চলাকালীন সোমবার ও প্যাংগংয়ে ও মঙ্গলবার চুমার সেক্টরে আগ্রাসন চালায় লালফৌজ। যদিও ভারতীয় ফৌজ সতর্ক থাকায় পিছু হঠতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার বা আজ থেকে শুরু হতে চলা মায়ানমার সফর বাতিল করলেন সেনাপ্রধান নারাভানে ও বিদেশ সচিব শ্রিংলা। তবে এদিন, চারদিনের রাশিয়া সফরে রওনা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে Shanghai Cooperation Organisation-এর (SCO) বৈঠকে অংশ নিলেও চিনা অধিকারিকদের সঙ্গে কোনও বৈঠকে বসবেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেই খবর।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চিনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় লালফৌজ। যদিও চিনের দাবি, তারা সীমান্তে কোনও রকম আগ্রাসন দেখায়নি। উলটে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধেই সীমান্ত পার হয়ে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলেছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নেয় ভারতের বিশেষ কমান্ড বাহিনী 'Special Frontier Force' (SFF)। এই বাহিনীটি মূলত ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করা তিব্বতীদের নিয়ে তৈরি করা। এই প্রথম চিনা ফৌজের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নেমেছে বাহিনীত। এর ফলে তিব্বতেও যে চিন বিরোধী হওয়া আরও জোরদার হবে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে মায়ানমার-সহ পড়শি দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করে মনোযোগী হলেও, আপাতত দেশেই থাকতে হবে সেনাপ্রধানকে।

[আরও পড়ুন: লাদাখের ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনের দখলে! গোয়েন্দা রিপোর্টে উদ্বেগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement