সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর আগ্রাসন রুখতে ‘কে-৯ বজ্র’ মোতায়েন করল ভারত। এবার পাহাড়ি অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লালফৌজের ঘাঁটিগুলি এই অত্যাধুনিক ও বিধ্বংসী কামানের নিশানায় থাকবে।
[আরও পড়ুন; জঙ্গি হামলার আতঙ্কের মধ্যেই জম্মুতে পাক ড্রোন থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ, শুরু তল্লাশি]
সেনা সূত্রে খবর, গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরও পূর্ব লাদাখে আগ্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। ফলে পালটা জবাব দিতে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তৎপর হয়েছে ভারত। শনিবার ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে জানিয়েছেন, সীমান্তে কে-৯ বজ্র কামানের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “রাজস্থান ও পাঞ্জাবের সমতলে ব্যবহার করার জন্য তৈরি হয়েছিল কে-৯ বজ্র কামান। তবে লাদাখে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওই কামানগুলিতে কিছুটা বদল ঘটানো হয়েছে যাতে সেগুলি পাহাড়ি অঞ্চলে কাজ করতে পারে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্রনির্মাতা সংস্থা ‘Hanwha Defense’-এর থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশেই কামানগুলি তৈরি করেছে ‘L&T’। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ১০০টি বজ্র কামান রয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক হাতিয়ার। এর আগে কারগিলেও কে-৯ বজ্র কামানের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, সীমান্ত নিয়ে গতবছর থেকেই ভারত ও চিনের (China) সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরও এখনও সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের একটি বক্তব্যের পর সেকথাই ফের প্রমাণিত হল। দু’দেশের সেনা একাধিকবার আলোচনাতে বসলেও এখনও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেই চলেছে চিন। সম্প্রতি সেকথাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান নারাভানে। গোগরা ও হটস্প্রিং থেকে অস্থায়ী ছাউনি তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিনা ফৌজ। সেনা পিছনোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। শেষবার সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে দুই দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উলটো ছবি।
সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিদর্শন করে এসেছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তাঁর বক্তব্য, শান্তি আলোচনার পরেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে চিন। লাদাখের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফের সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, অস্ত্রশস্ত্রও মজুত করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।