সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব সুপরিকল্পিতভাবে ফাঁদ পেতেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। ISI-এর এক চর সুন্দরী মহিলা সেজে ‘প্রেমের ফাঁদে’ জড়ায় ভারতীয় সেনার (Indian Army) এক কর্মীকে। আর সেই ফাঁদে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগ উঠল ওই সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের ২৪ বছর বয়সি সেনা জওয়ান প্রদীপ কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? যোধপুরের বাসিন্দা প্রদীপের সঙ্গে আলাপ হয় গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ছদমের। সে জানায়, সে বেঙ্গালুরুর এক কর্পোরেট ফার্মে চাকরি করে। যদিও আদপে পুরোটাই ছিল মিথ্যে। আইএসআইয়ের এজেন্ট ওই ভাবেই মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে ভাব জমায় প্রদীপের সঙ্গে। আর সেই ফাঁদে পাও দিয়ে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, বরাতজোরে বাঁচলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব]
ক্রমশই গভীর হয় সম্পর্ক। কয়েক মাসের মধ্যে বিষয়টা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। এরপরই হোয়াটসঅ্যাপে সেনার বেশ কিছু জরুরি নথি ওই তরুণীকে পাঠান তিনি। এখানেই শেষ নয়। প্রদীপের সাহায্যে ফাঁদে ফেলা হয় আরও কয়েকজন সেনাকর্মীকে। কাজে লাগানো হয় ওই আইএসআই চরের আরেক বান্ধবীকেও।
কিছুদিন আগেই পুরো বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত ১৮ মে অবশেষে রাজস্থান পুলিশ আটক করে প্রদীপকে। তাঁকে লাগাতার জেরা করা হয়। শেষ পর্যন্ত শনিবার অর্থাৎ ২১ মে গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে। এর সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রদীপকে।
[আরও পড়ুন: বড় হারে শুল্ক কমাল কেন্দ্র, একধাক্কায় অনেকটা কমছে পেট্রল-ডিজেলের দাম, স্বস্তি রান্নার গ্যাসেও]
উল্লেখ্য, এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে গত মার্চেই রাজস্থানে এক সেনা জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল একই অভিযোগে। আকাশ মেহরিয়া নামে ওই সেনা জওয়ানের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করেছিলেন এক পাকিস্তানি মহিলা এজেন্ট। এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে আসায় আগেই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। সেনা জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বেশ কিছু নিয়মও জারি করা হয়েছে।