অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ফের একবার ধসের কবল থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই নিয়ে চলতি বছরে মোট ৬ বার আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করল সেনা। উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং, চুংথাং থেকে শুক্রবার বিকেলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেশ-বিদেশের প্রায় ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করে সেনা জওয়ানরা। তাঁদের মধ্যে একজন পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থই আছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ থেকে টোকা হয়েছে টম ক্রুজের এই ছবির দৃশ্য! ‘ঢাক পেটাচ্ছেন’ শাহরুখ-ভক্তরা]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই পর্যটকরা লাচুং ও লাচেন ভ্যালিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আচমকা আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর চুংথাংয়ে রাস্তায় ধস নামার কারণে সেখানেই আটকে যায় পর্যটকরা। অনেক চেষ্টা করেও তারা বেরোনোর পথ পাচ্ছিলেন না। এরপরই উত্তর সিকিমের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে খবর যায় ভারতীয় সেনার কাছে। খবর পাওয়া মাত্র ভারতীয় সেনা, ত্রিশক্তি কর্পস, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তাঁরা আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করেন। যার মধ্যে ২১৬ জন পুরুষ, ১১৩ জন মহিলা ও ৫৪ জন শিশু রয়েছে।
উদ্ধার করে পর্যটকদের সেনার তিনটে আলাদা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে এক মহিলা পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মেডিক্যাল টিমের তরফে দ্রুত ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে জানা যায়, ওই মহিলা গুরুদংমার লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত উচ্চতায় তাঁর শ্বাসকষ্ট হয় ও শারিরীক পরিস্থিতির অবনতি হয়। সেনার ক্যাম্পে পর্যটকদের গরম কাপড়, খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়। পর্যটকরা যাতে প্রবল শীতে ভালভাবে রাত কাটাতে পারেন তার জন্য জওয়ানরা নিজেদের বারাক পর্যন্ত খালি করে দেয়। এই বিষয়ে ভারতীয় সেনার কর্নেল অঞ্জন কুমার বাসুমাতারি বলেন, “সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি হিমালয়ের অতিরিক্ত উচ্চতায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের উদ্ধারে সবসময় তৎপর আমাদের জওয়ানরা।”