স্টাফ রিপোর্টার: সাফ ফাইনালে (SAFF Cup) উঠতে গেলে বুধবার মালদ্বীপকে হারাতেই হবে ভারতীয় দলকে। সেক্ষেত্রে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অনেক সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে মালদ্বীপ। নিজেদের ঘরের মাঠে সুনীলদের বিরুদ্ধে শুধু ড্র করলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবেন আলি আসফাকরা।
ফাইনালে ওঠার লড়াই দেখার জন্য মালদ্বীপের জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার তিন হাজার দর্শককে ম্যাচ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে মাত্র দু’শো জন ভারতীয় সমর্থক মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। ফলে ঘরের মাঠে জনসমর্থন নিয়ে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে মালদ্বীপের। দু‘দলই খেলতে নামবে, দু‘দলের দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে নিয়ে। ভারতীয় দলে যেরকম সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri), মালদ্বীপের সেরকম আলি আসফাক। দু‘জনেই সাফ কাপের চিরকালীন তারকা। ফলে দু‘দলের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ের পাশাপাশি ম্যাচের আর এক আকর্ষণ সুনীল আর আলি আসফাকের ব্যক্তিগত দ্বৈরথ।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের কোচ হতে চান না, সবিনয়ে বিসিসিআইয়ের প্রস্তাব ফেরালেন দ্রাবিড়]
মঙ্গলবার মালদ্বীপে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) মজা করে বলেছিলেন, “যদি কোনও দলে সুনীল আর আলি আসফাক একই সঙ্গে খেলত, তাহলে দারুণ হত।” প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে হারলেও মালদ্বীপ পরের দু’টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেখানে আবার নেপালকে হারিয়েছে ভারত। স্টিমাচ বলছিলেন, “শেষ ম্যাচের আগে ফুটবলারদের ফিট রাখাটাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর ড্র করলেই যেহেতু ফাইনালে চলে যাবে, তাই ম্যাচের আগে মালদ্বীপ যে দারুণ জায়গায় রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার জন্য আমরাও তৈরি।”
প্রথম দু’টো ম্যাচে ড্রয়ের পর শেষ ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে জিতেছেন সুনীলরা। এ পর্যন্ত দু’টি জয় পেয়েছে ভারত। আর দু’টি গোলই করেছেন সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় কোচ এই প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু সুনীলের উপর গোলের জন্য ভরসা করলে হবে না। গোলের সুযোগ তৈরির সঙ্গে গোলও করতে হবে। তবে শেষ ম্যাচে ছেলেরা যা খেলেছে, আমি খুশি।”