সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিতৃহারা হয়েছেন দিন তিনেক হল। ভারতীয় দলের সঙ্গে অজি সফরে যাওয়া পেসার মহম্মদ সিরাজকে (Mohammed Siraj) ভারতীয় বোর্ড বলেছিল যে, তিনি চাইলে দেশে ফিরে আসতে পারেন। সব বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সিরাজ আসেননি। দেশের প্রতি কর্তব্যকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। যে মনোভাব দেখে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে টুইট করে দেন। এবার সিরাজের দাদা ইসমাইল জানালেন, দেশের জার্সি গায়ে দলকে জিতিয়ে বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে চান সিরাজ। সেই জন্যই থেকে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
ইসমাইলের বলছিলেন, “ভাই এখন ফোন করলে কোনও কথা বলতে পারে না। শুধু ‘আব্বু’ বলে আর কাঁদে। বারবার ওকে বলি, কথা বল। কিন্তু ওর কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছুই কানে আসে না। ও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে, যে ডনের দেশে খুব ভাল পারফর্ম করবে। সেভাবেই বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে চায়।” ছেলের এমন অদম্য জেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মা-ও। তিনি সিরাজকে বলেছিলেন, দেশের হয়ে ভালভাবে খেলে তবেই যেন বাড়ি ফেরেন। আর সিরাজ? তিনি এদিন বলে দিলেন, জীবনের কঠিনতম সময়ে তিনি এমন একজনের সমর্থন পেয়েছিলেন, যা তিনি জীবনে ভুলতে পারবেন না। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সমর্থন।
[আরও পড়ুন: খেলা চলাকালীনই বিপক্ষের খেলোয়াড়ের যৌনাঙ্গে হাত! ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে ফুটবলার]
ব্যক্তিগত জীবনে বিরাটও পারিবারিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন। দিল্লির হয়ে রনজি ট্রফি ম্যাচ খেলার সময় বাবাকে হারান বিরাট। কিন্তু পরের দিন মাঠে ফিরে এসে ৯৭ রান করেন। নিজের লৌহসম মানসিকতার স্বাক্ষর রাখেন। সেই বিরাটই এগিয়ে আসেন ভারতীয় পেসার পিতৃহারা হওয়ার পর। তাঁকে বলেন, মিঁয়া টেনশন মত লে (টেনশন নিও না)। শক্ত থাকার চেষ্টা করো। “বিরাটভাই আমাকে বলল, তোমার বাবা চাইতেন তুমি দেশের হয়ে খেলো। তুমি সেটাই করো। চাপ না নিয়ে,” সোমবার বিসিসিআই টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন সিরাজ।
ভারী গলায় যোগ করেন, “আমার কাছে বাবার চলে যাওয়া বিশাল ধাক্কা। কারণ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলেন বাবাই। সবচেয়ে বেশি আমাকে উনিই সমর্থন করে এসেছেন। উনি চাইতেন আমি যাতে দেশের হয়ে খেলি। আমার এখন লক্ষ্য একটাই। বাবার স্বপ্নকে পূরণ করা,” বলে দিচ্ছেন সিরাজ।