সুব্রত বিশ্বাস: রেলের চিকিৎসা ব্যবস্থায় খোলনলচে বদলে ফেলা হচ্ছে। আর এজন্য ‘কাগজ-কলম’ পুরোপুরি বিসর্জন দিতে চলেছে পূর্ব রেলের স্বাস্থ্যবিভাগ। পরিবেশ বান্ধব ও প্রযুক্তি নির্ভর এই পদক্ষেপের জন্য উপকৃত হবেন রোগীরা বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণের পথে বাংলার ‘জলকন্যা’ সায়নী, মিলল মলোকাই চ্যানেলে নামার অনুমতি]
এবার থেকে রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলেও কোনওরকম স্লিপ লেনদেন হবে না। চিকিৎসা থেকে ওষুধ, প্যাথলজি থেকে এক্স-রে, এমনকী ভরতির বিষয় বা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞকে দেখানোর সাজেশন সবটাই হবে কম্পিউটারের মাধ্যমে। পুজোর আগে পূর্ব রেলে চালু হচ্ছে ‘হসপিটাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। আউটডোরে রোগী আসার পর চিকিৎস তাঁকে দেখবেন। তবে ওষুধের সাজেশন স্লিপ রোগীর হাতে দেবেন না। কম্পিউটারে তিনি সরাসরি মেডিসিন স্টোরে রোগীর তথ্য দিয়ে ওষুধ বলে দেবেন। সেখানে গিয়ে রোগী নিজের ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবে।
শুধু ওষুধ নয়, যাবতীয় প্যাথলজি টেস্টেরও সাজেশন দেওয়া হবে কম্পিউটারে। রোগী প্যাথলজি সেন্টারে হাজির হয়ে তা পরীক্ষা করাতে পারবেন রোগীরা। পাশাপাশি প্রয়োজনে রোগ বিশষজ্ঞের কাছে রোগীকে পাঠালে তার নির্দেশও দেওয়া হবে কম্পিউটারে। রোগীর সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান হবে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে। পুজোর আগেই এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হবে বি আর সিং হাসপাতালে। এরপরই অন্য হাসপাতালগুলিতে একই ব্যবস্থা হবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানে খুব কম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা থেকে ওষুধ সবই মিলবে। পাশাপাশি হাসপাতালের যাবতীয় ব্যবস্থা স্বচ্ছ হবে। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টর রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “হাসপাতালের সব ব্যবস্থাতে স্বচ্ছতা আসবে। ওষুধপত্র নয়ছয় বন্ধ হবে। বহু দিনে বাদেও রোগির স্বাস্থ্য সম্পকির্ত পুরনো তথ্য মিলবে কম্পিউটারের বোতাম টিপলেই। পাশাপাশি কম্পিউটার চালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যে জড়িত সব বিভাগের কর্মীরাই তা জানাতে পারবেন। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী সব পদক্ষেপ নিতে পারবে স্বাস্থ্যবিভাগ।”এছাড়া, কোনওরকম দুর্নীতি হলেই ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। তাই পুজোর আগে এই সিস্টেম চালু হলে তা অত্যন্ত কাযর্কর হবে বলে মনে করেছেন চিকিৎসকরা।