সুব্রত বিশ্বাস: স্টেশনের মানোন্নয়ন-সহ একাধিক পরিকাঠামোয় আরও উন্নতির লক্ষ্যে এবার রেলযাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পথে হাঁটল রেল (Indiana Railways)। সূত্রের খবর, সদ্যই রেলের প্যাসেঞ্জারস মার্কেটিং বিভাগের তরফে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। সব জোনের ম্যানেজারদের কাছে পৌঁছেছে সেই বিজ্ঞপ্তি। তাতেই উল্লেখ, দূরপাল্লার যাত্রীদের এবার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া (Fare hike) গুনতে হবে। ন্যূনতম ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে টিকিট কাটতে হতে পারে। এ বিষয়ে যাত্রীদের কাছে এখনও স্পষ্ট কোনও দিশা নেই। নতুন বছরের শুরুতে রেলের ভাড়াবৃদ্ধির এই খবরে স্বভাবতই চিন্তায় রেলযাত্রীরা।
রেল মন্ত্রকের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনের (Reservation) জন্য টিকিট কাটতে গেলে পকেটে চাপ আরও বাড়বে যাত্রীদের। সেই ভাড়া অবশ্য ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আশ্বাস রেলের। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেলের ওই বাড়তি আয় বিভিন্ন স্টেশনের মানোন্নয়নে কাজে লাগানো হবে। দেশের স্টেশনগুলিকে ‘ক্লাস’ অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বাড়তি সুযোগ-সুবিধায় জোর দেওয়া হবে। এছাড়া এই কাজের জন্য দাম বাড়তে পারে প্ল্যাটফর্ম টিকিটেরও (Platform Ticket)।
[আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট, বহু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিলিট করল কেন্দ্র]
তবে এই ভাড়াবৃদ্ধি মূলত দূরপাল্লার ট্রেনের জন্যই প্রযোজ্য। লোকাল ও কম দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া আপাতত বাড়ছে না বলে রেলের নয়া নির্দেশিকায় বোঝা গিয়েছে। যদিও রেলের এই নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যাত্রীদের একাংশের মত, যে সব কারণ দেখিয়ে যাত্রীদের উপর অতিরিক্ত ভাড়ার বোঝা চাপানো হচ্ছে, সেই স্টেশনের মানোন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে রেল বাজেটেই। তাহলে এখন যাত্রীদের থেকে কেন বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে? তবে কি ঘুরপথে বেসরকারিকরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল? এই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। সবমিলিয়ে, রেলের এই সিদ্ধান্তে যাত্রীরা তো বটেই, আপত্তি তুলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।