সুব্রত বিশ্বাস: প্রথম ঢেউ থেকে শুরু হয়েছিল বিভীষিকার দিন। করোনার প্রভাব পড়েছিল সবক্ষেত্রে। মহামারীর কারণে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় রেলের (Indian Rail) স্বাভাবিক পরিষেবা। ট্রেন যাত্রীদের জন্য জারি হয়েছিল একাধিক বিধিনিষেধ। এইসঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিতে বালিশ, কম্বল, চাদর, তোয়ালে দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাতানুকূল বগির জানালা থেকে পর্দাও উধাও হয়ে যায়। তৃতীয় ঢেউ ডিঙিয়ে ফের সেই যাবতীয় পরিষেবা ফেরাচ্ছে ভারতীয় রেল। বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতি দিয়েছে রেল মন্ত্রক ও রেল বোর্ড। সেখানে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই আগের মতোই বিনামূল্যে যাবতীয় পরিষেবা পাবেন রেল যাত্রীরা।
করোনা অতি সংক্রামক। বালিশ, তোয়ালে, চাদর, কম্বল থেকে ছড়াতে পারে ছোঁয়াচে মহামারী, সেকথা ভেবেই এই পরিষেবাগুলি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় রেল। প্রথমবার ২০২০ সালের ১১ মে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেল। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পরে সংক্রমণ বাড়লে নতুন করে ২০২১ সালের ৫ মে একই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। তবে শীতের সময় বিকল্প ব্যবস্থা করেছিল রেল। যদিও তার জন্য পকেটের পয়সা খসাতে হচ্ছিল যাত্রীদের।
[আরও পড়ুন: ৩৫ বছরের রীতি ভাঙল উত্তরপ্রদেশ, বিজেপির জয়ের পিছনের ৫ কারণ]
৩০০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছিল একটি বিছানায় পাতার চাদর, একটি বালিশ, একটি বালিশের কভার, একটি কম্বল, একটি ইউজ অ্যান্ড থ্রো ব্যাগ। এছাড়াও টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চুলে মাখার তেল, চিরুনি, স্যানিটাইজার, পেপারসোপ এবং টিস্যু পেপার। মিলছিল সস্তার কিটও। ১৫০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছিল শুধুমাত্র একটি কম্বল। এগুলি ফেরত দেওয়ার ব্যাপার ছিল না। জিনিসগুলি চাইলে যাত্রী বাড়ি নিয়ে যেতে পারতেন। প্রথমে এই ব্যবস্থা শুরু হয় দিল্লিতে। পরে দেশের অন্য বড় স্টেশনেও মিলছিল পরিষেবা। অবশেষে উঠে যাচ্ছে বিকল্প নিয়ম।
[আরও পড়ুন: দিল্লির পর পাঞ্জাবেও এবার মসনদে আপ, কোন পথে এল সাফল্য? রইল পাঁচ কারণ]
ফের বিনামূল্যে রেলের বাতানুকূল বগিতে মিলবে বালিশ, তোয়ালে, চাদর, কম্বল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার জানলায় ঝুলবে পর্দা। বৃহস্পতিবার দেশের সব রেলওয়ে জোনকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে যাত্রীদের পুরনো পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক।