সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পেস বোলিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। কিন্তু একসময়ে ক্রিকেট ছাড়ার কথাই ভেবেছিলেন। তিনি মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)।
বুধবার জন্মদিনে স্বীকার করে নিলেন, একসময়ে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ভাবনাচিন্তাও করেছিলেন। নিজেকেই সময় দিয়েছিলেন। সিরাজ বলেছেন, ”২০১৯-২০ সালে নিজেকে বলেছিলাম আর একটা বছর দিচ্ছি, তার পরে খেলা ছেড়ে দেব।”
টাকাই সব? জাতীয় বা ঘরোয়া দলে না খেলে সোজা আইপিএল! হার্দিককে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন তারকা
ভাগ্যিস সিরাজ খেলা ছাড়েননি। নাহলে এরকম একজন পেসার পেত না ভারতীয় দল। জন্মদিনে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেই ভিডিওয় সিরাজকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”হায়দরাবাদে নামলে আমার সবার আগে মনে হয় কখন বাড়ি যাব। বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকি না কেন, বাড়ির মতো শান্তি কোথাও পাই না।”
একসময়ে কঠিন পরিশ্রম করেছেন সিরাজ। তাঁর বাবা অটোরিকশা চালাতেন। হাত পুড়িয়ে রুমালি রুটি বানাতেন। সিরাজ বলেছেন, ”আমি ক্যাটারিংও করেছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে বলতেন, পড়াশোনা কর। আমি ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতাম। আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। বাবাই একমাত্র রোজগার করতেন। আমি একশো-দুশো টাকা উপার্জন করতাম। তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম। বাড়িতে একশো বা দেড়শো টাকা দিতাম। পঞ্চাশ টাকা নিজের জন্য রেখে দিতাম।” এখানেই শেষ নয়। সিরাজ আরও বলেন, ”রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে হাত পুড়ে যেত। এত লড়াইয়ের পরে আজকে এই জায়গায় পৌঁছেছি।”
কঠিন পরিশ্রমের মূল্য পাওয়া যায়। সিরাজের উপলব্ধি এটাই।