সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে গাজায় আটকে পড়েছিলেন কাশ্মীরের লুবনা। সঙ্গে ছিল স্বামী এবং মেয়েও। ইজরায়েলি সেনা গাজায় ঢুকে পড়লে, লাগাতার বোমা-বর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে ছুটেছিলেন দক্ষিণে। সেখানেই এতদিন কাটছিল জীবন। জল নেই, ওষুধ নেই, বিদ্যুৎ নেই– তার উপর প্রতি মুহূর্তে বোমা-গুলির শব্দ।
[আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে গণকবর! আল শিফায় তুমুল লড়াই, হামাসের পার্লামেন্টে ইজরায়েলি ফৌজ]
এই শোচনীয় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য বার বার রামাল্লা, তেল আভিভ এবং কায়রোর ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে বার্তা পাঠান লুবনা। শেষ পর্যন্ত কাজ হল তাতেই। সোমবার সন্ধ্যায় যুদ্ধদীর্ণ গাজা (Gaza) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুবনা নাজির শাবু এবং তাঁর কন্যা, করিমাকে। তার পর তাঁদের গাজা এবং মিশরের মধ্যবর্তী রাফা ক্রসিং পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিশরে। লুবনার স্বামী নিশ্চিত করেছেন, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা, দুজনেই সোমবার পৌঁছন মিশরের আল-আরিশ শহরে। মঙ্গলবার তাঁরা সেখান থেকে চলে গিয়েছেন কায়রোয়।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন থেকে ইজরায়েল, বিশ্বজুড়ে কামানের গর্জনের মাঝেই আমেরিকায় জিনপিং]
গাজার নরককুণ্ড থেকে বেরতে পেরে ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লুবনা। গত ১০ অক্টোবর প্রথম সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। সাড়া দিয়ে তৎপর হয় দিল্লি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরু থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ছাড়ছেন বিদেশি নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, গত ১ নভেম্বর অন্তত ৪৪টি দেশের নাগরিকরা গাজার সীমানায় রাফা এলাকা থেকে মিশরের উদ্দেশে রওনা দেন। সূত্রের খবর, অন্তত ৪০০ জন বিদেশি ওইদিন গাজা ছেড়েছিলেন। তবে এখনও অনেকেই সেখানে আটকে রয়েছেন বলে খবর। পানীয় জল, খাবার ও জীবনদায়ী ওযুধের জন্য হাহাকার করছে হাজার হাজার মানুষ।