সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের ৩৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ (Omicron)। এমত অবস্থায় ভারতে এখনও পর্যন্ত দুই ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। এবার দেশে আরও দুই ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল। এদের মধ্যে একজন গুজরাটের (Gujarat) জামনগরের, অন্যজনের খোঁজ মিলেছে মুম্বইয়ে। গুজরাটের ব্যক্তি সম্প্রতি জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe) থেকে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে সে-রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। মুম্বইয়ের ৩৩ বছরের ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জানা যায়, জিম্বাবোয়ে থেকে গুজরাটে ফেরা এক ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত। এরপরই ওই ব্যক্তির নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। আজ জানা গেল, তিনি করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে আক্রান্ত। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় জানা গেল, মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে বাসিন্দা বছর ৩৩-এর ওই ব্যক্তি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাই হয়ে দিল্লিতে আসেন। সেখান থেকে মুম্বইয়ে ফেরেন বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত জানার পর তাঁকে মুম্বইয়ের একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারের আইসোলেশান ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রথমবার ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রনে’র অস্তিত্ব মেলে। কর্ণাটকের (Karnataka) ২ ব্যক্তির শরীরে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর জানা যায়, তাঁদের দেহে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। এঁদের একজনের বয়স ৬৬ বছর, অপরজন ৪৬ বছরের ব্যক্তি। এরপর চাঞ্চল্যকর তথ্যও সামনে আসে। জানা যায়, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ওমিক্রন আক্রান্ত ৬৬ বছরের ব্যক্তি কর্ণাটকে নেই। গত ২৭ নভেম্বর বিমানে চেপে তিনি দুবাই (Dubai) চলে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘নকল’ হাতে করোনা ভ্যাকসিন নিলেন টিকা নিতে অনিচ্ছুক প্রৌঢ়, তারপর…]
প্রসঙ্গত, শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ৬০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ। এদিকে কর্ণাটকে ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকেই নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে আবার ভ্যাকসিন না নিলে শপিং মলে প্রবেশের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সতর্ক বাণিজ্য নগরীও। ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এলে বিমানযাত্রীদের সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে সংক্রমিত ৮ হাজারের বেশি, ‘ওমিক্রন’ নিয়ে একাধিক রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ]
এদিকে শুক্রবার হু (WHO) জানিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যুর খবর এখনও তারা পায়নি। তবে আগামী কয়েক মাসে ইউরোপের অর্ধেক করোনা আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এদিকে, ওমিক্রনের উৎসস্থল সাউথ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে বিশেষজ্ঞদের দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে কন্টাক্ট ট্রেসিং থেকে শুরু করে সংক্রমণের গতি-সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।