সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২ বছর ধরে করোনার ধাক্কা। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাড়ছে অশোধিত তেলের দাম। ফলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজপাতির মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে মার্চে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (wholesale inflation) পৌঁছল ১৪.৫৫ শতাংশে।
[আরও পড়ুন: ১১ বছর আগে লেখা প্রতিবেদনে ‘দেশদ্রোহের ছায়া’, UAPA আইনে গ্রেপ্তার কাশ্মীরি পড়ুয়া]
সোমবার পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে অর্থাৎ লাগাতার ১২ মাস ‘হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স’ বা পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির সূচক রয়েছে দুই অঙ্কে, যা ভারতের মতো অর্থিনীতির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। গত নভেম্বরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৪.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১৩.১১ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৮৯ শতাংশ। এদিকে, সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মুদ্রাস্ফীতির হারে সেই অর্থে প্রভাব পড়েনি। এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.১৯ শতাংশ। মার্চে তা কমে দাঁড়ায় ৮.০৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৬.৯৩ শতাংশ। মার্চে সেই হার কিছুটা কমে হয় ১৯.৮৮।
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail inflation) পৌঁছেছে ৬.৯৫ শতাংশে। মার্চ মাসেই তা ছিল ৬.০৭ শতাংশ। এক মাসে এই হার বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি। এর ফলে কাঁচা বাজারের যে অগ্নিমূল্য তা আরও ভ্রুকুটি দেখাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজপাতির মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। তার উপর আতঙ্ক তৈরি করছে করোনার ‘এক্সই’ ভ্যারিয়েন্ট। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উসকে ‘রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া’র পূর্বাভাসে গতিক যে সুবিধের নয় তা স্পষ্ট। শুক্রবার আরবিআই জানিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি, GDP বৃদ্ধির সম্ভাব্য হারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। আরবিআই নিজের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৭.৪ শতাংশ থেকে GDP বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫% থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫.৭%। তবে রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট চার শতাংশ এবং রিভার্স রেপো রেট আগের মতোই ৩.৩৫ শতাংশ।