আলাপন সাহা: বদলে যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি। পিছোচ্ছে আসন্ন রনজি ট্রফি (Ranji Trophy)। জুলাইয়ের শুরুতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি ঘোষণা করে দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২০ অক্টোবর থেকে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি শুরু হচ্ছে। তার পরই রনজি ট্রফি করার ভাবনাচিন্তা শুরু করে রেখেছিল বোর্ড। ঠিক ছিল, ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে রনজি ট্রফি। রনজির পর বিজয় হাজারে।
শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছু রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এখানেই আপত্তি জানায়। ভারতীয় বোর্ডকে ক্রিকেট সংস্থাগুলো অনুরোধ করে সূচি বদলানোর। বলা হয় টি-টোয়েন্টি শেষ হওয়ার পর মাত্র চার দিনের মধ্যেই আবার রনজি খেলতে নেমে পড়তে হবে। তিন-চারদিনের প্রস্তুতি নিয়ে রনজির মতো টুর্নামেন্টে খেলতে নামা খুব কঠিন ব্যাপার। কারণ লাল বলে প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় থাকবে না। আর টি-টোয়েন্টি থেকে চারদিনের ফরম্যাটে মানিয়ে নিতে ক্রিকেটারদের সমস্যায় পড়তে হবে। আবার রনজির পরই বিজয় হাজারেতে সাদা বলে খেলতে হবে। সেটাও অসুবিধের। তাই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলো বিসিসিআইকে অনুরোধ করে যাতে টি-টোয়েন্টির পর বিজয় হাজারে ট্রফি করা হয়। আর সবার শেষ যেন রনজি হয়। তাহলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। সেক্ষেত্রে টিমগুলো রনজির জন্য প্রস্তুতির সময়ও পেয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: Madhuri’র ‘আজা নাচলে’ গানের সঙ্গে সাঁতার কেটে তাক লাগালেন ইজরায়েলের দুই সাঁতারু]
রাজ্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এরকম অনুরোধ পাওয়ার পরই পুরো ব্যাপারটা আবারও ভাবনাচিন্তা শুরু করে বোর্ড। রাজ সংস্থাগুলোর দাবি যে যুক্তিসঙ্গত, সেটা বুঝতে পারেন বোর্ড কর্তারাও। টিমগুলোর যাতে সমস্যায় না পড়ে, রনজির জন্য যাতে প্রস্তুতির সময় থাকে, তার জন্যই রনজি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, টি-টোয়েন্টির পর বিজয় হাজারে ট্রফিই হবে। সবার শেষে হবে রনজি। বিসিসিআইয়ে খবর নিয়ে জানা গেল, সূচি বদলানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে নতুন সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া আবারও টিমগুলোকে বায়োবাবলে রেখেই যে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হবে, সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে গতবারের মতোই কয়েকটি জোনে খেলাগুলো হবে। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, তাতে রনজিও সম্ভবত একইভাবে কয়েকটা জোনে হবে। অর্থাৎ হোম অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে সম্ভবত এবার আর কিছু থাকবে না। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।