সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা করোনায় রক্ষে নেই মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) দোসর। ভারতেও এবার মিলল মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি। আক্রান্তের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। তারাই নিশ্চিত করে যে ওই ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস মিলেছে। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশ্বাস দিয়েছে, করোনার মতো ভয়ঙ্কর অতিমারীর আশঙ্কা নেই এই ভাইরাস থেকে।
যে ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান মিলেছে, তিনি ১২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে কেরলে আসেন। কেরলে দেশের প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগীর সন্ধান মেলার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে উচ্চপর্যায়ের একটি দল পাঠিয়েছে। আড়াই বছর আগে দেশের প্রথম কোভিড রোগীর সন্ধান এই কেরলেই মিলেছিল।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরির জন্য মায়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না’, মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের]
সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সের হদিশ মিলেছে। কেরলে যে ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান মিলেছে, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে মাঙ্কিপক্স রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারও মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
যাঁদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা গিয়েছে তাঁদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এনআইভি-তে পাঠাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বৃহস্পতিবার বলেন, আক্রান্তের মাঙ্কিপক্সের রিপোর্ট পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে পজিটিভ এলেও তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁর শরীরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলিও স্বাভাবিক আছে।
[আরও পড়ুন: জুবেইরকে জেল হেফাজত হাথরস আদালতের, ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সাংবাদিক]
হু আশ্বাস দিয়েছে মাঙ্কিপক্স কোভিডের আকার নেবে না বলেই ভরসা করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তবে তাতেই আশ্বস্ত হয়ে সতর্কতা থেকে পিছু হঠছে না কেন্দ্র। বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা গেলে ২১ দিন তাঁর উপর নজরদারি চালাতে হবে।
আর কী জানিয়েছে কেন্দ্র? নির্দেশে জানানো হয়েছে, মৃত ইঁদুর কিংবা কাঠবেড়ালীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে কারও চামড়া বা যৌনাঙ্গে কাঁটাছেঁড়া হলে সেই অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসা চলবে না। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানা, আসবাব, বাসনপত্রের সংস্পর্শও এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।