সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) মোতায়েন থাকলে চিনা বা এমন কোনও দেশে তৈরি মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না, যে দেশগুলি ভারতের জন্য বিপজ্জনক। সেনা জওয়ানদের জন্য নয়া সতর্কবার্তা জারি করল গোয়েন্দা বিভাগ। শুধু সেনা জওয়ানরা নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও চিনা বা ‘বিপজ্জনক’ দেশে তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, চিনা বা বিদেশি মোবাইলগুলি ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বহু ক্ষেত্রেই ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে চিনা মোবাইলে। যা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে আগেও সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে। এবার সরাসরি চিন সীমান্তে যাতে এই মোবাইলগুলি না ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার বার্তা এল। শুধু মোবাইল নয়, চিনা অ্যাপ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: আদানি কাণ্ডে চিনা নাগরিকের ‘সন্দেহজনক ভূমিকা’, জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের]
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের তরফে সেনার শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, সেনাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিনা মোবাইল কেনা বা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ওই নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, যাদের কাছে চিনা বা বিপজ্জনক দেশে তৈরি মোবাইল আছে, সেইসব সেনা আধিকারিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে চিনা ফোনগুলি বদলে ফেলেন, সেই প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেনা আধিকারিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সমস্ত চিনা অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
[আরও পড়ুন: গালে গাল ঠেকিয়ে আবিরকে রং মাখালেন ঋতাভরী, ভালবাসায় রঙিন ‘ফাটাফাটি’র নয়া ভিডিও]
উল্লেখ্য, সেই ২০২০ সাল থেকে চিন সীমান্তে কার্যত সম্মুখসমরে ভারত ও চিনের সেনা। চিনের সঙ্গে প্রায় আড়াই বছরের টানা লড়াইয়ে কার্যত খানিকটা ব্যাকফুটে ভারত। দিন কয়েক আগে লাদাখের এক পুলিশ কর্তার দেওয়া রিপোর্টে অন্তত তেমনটাই মনে হয়েছে। ওই সেনা (Indian Army) আধিকারিক দাবি করেছিলেন লাদাখের অধিকাংশ পেট্রোলিং পয়েন্টের দখল হারিয়েছে ভারতীয় সেনা। তারপর থেকেই চিন সীমান্তে বাড়তি নজর দিচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ।