সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্য সম্পর্কে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। এবার ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ১ দিল বিরাট খোঁজ। যাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এর সাহায্যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড এবং কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
ঠিক কী জানিয়েছেন আদিত্য? ইসরোর সৌরযানে রয়েছে ভিজিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফ নামের এক যন্ত্র। আর এর সাহায্যেই তোলা সম্ভব হয়েছে গত ১৬ জুলাইয়ের এক করোনাল মাস ইজেকশন বা সিএমই। কী এই সিএমই? আসলে সূর্যের বাইরের স্তর অর্থাৎ করোনা থেকে নির্গত আগুনের বড় বলকে এই নামে ডাকা হয়। ভারতের প্রথম সৌর মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে অন্যতমই এই সিএমইকে খুঁটিয়ে অধ্যয়ন করা। এই সিএমই শক্তিকণা দিয়ে তৈরি। এদের ওজন এক ট্রিলিয়ন কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। আর তাদের গতি সেকেন্ডে তিন হাজার কিলোমিটার হতে পারে। তারা যেকোনও দিকে যেতে পারে। অর্থাৎ তারা পৃথিবীর দিকেও আসতে পারে। গত জুলাই মাসে তেমনই সব আগুনের গোলা পাড়ি দেয় পৃথিবীর উদ্দেশে। কিন্তু খানিক বাদে তা অন্যদিকে সরে যায়।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্যকে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার কক্ষপথ বদলেছিল সৌরযান। এর পর একে একে পাঁচবার কক্ষপথ বদলে পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়ে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায় সে। ইসরোর সৌরযান তার যাত্রার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গিয়েছে এবছরের শুরুতেই। তার পর থেকেই চলছে নজরদারি। সূর্য সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য আদিত্য জানাবে সারা বিশ্বকে, এমনটাই আশা ইসরোর বিজ্ঞানীদের।