সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয়দের মেধা, পরিশ্রমের কদর বিশ্বের দরবারে বরাবরই সমাদৃত। বিজ্ঞান গবেষণা হোক কিংবা কোনও সৃষ্টিশীল কাজ – ভারতীয়রা চিরকাল সীমান্ত ছাড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। মহাকাশ অভিযানেও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর রাজা জন বরপুত্তর চারি। নাসার (NASA) পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে ১৮ জনের দলে নির্বাচিত ৪৩ বছর বয়সি রাজা। আগামী ২০২৪ সালে চাঁদের নভোশ্চর পাঠানোর লক্ষ্যে প্রস্তুতি সারছে নাসা।
রাজা জন বরপুত্তর চারি (Raja Jon Vurputoor Chari)। ৪৩ বছরের ইন্দো-মার্কিন এই ব্যক্তি মার্কিন নাভাল টেস্ট পাইলট স্কুল, ইউএস এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমি, MIT’র প্রাক্তনী। নাসার নভোশ্চর হিসেবে সেখানে সুযোগ পান ২০১৭ সালে। তিন বছরের মধ্যে নভোশ্চরের প্রশিক্ষণ শেষ করার পর এখন তিনি যে কোনও অভিযানের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আর প্রথম মিশনই চাঁদে (Moon mission)। মার্কিন প্রশাসনের উৎসাহে নাসার বিশেষ অভিযান ‘আর্টেমিস’-এর হাত ধরে এই সুযোগ পেয়ে স্বভাবতই খুব খুশি রাজা। ১৭ জন সহকর্মীর সঙ্গে চাঁদের মাটিতে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরকদমে।
[আরও পড়ুন: মিলল গবেষণায় স্বীকৃতি, কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রই এখন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী]
আসলে, নাসার এই ‘আর্টেমিস মিশন’ (Artemis) অনেক দিক থেকেই বিশেষ। চাঁদে মানুষ পাঠানোর এই উদ্যোগে প্রভূত উৎসাহী মার্কিন প্রশাসন স্বয়ং। এই অভিযানে নাসার সঙ্গে আরও কয়েকটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা যুক্ত হচ্ছে। এই যৌথ কর্মকাণ্ডেই চাঁদে ১৮ জনের একটা বড়সড় দল পাঠানোর পরিকল্পনা করতে পেরেছে নাসা। এই মিশনে নভোশ্চরদেরও বেছে নেওয়া হয়েছে নানা বিষয় তাঁদের দক্ষতার কথা মাথায় রেখে। এই দলে যেমন রয়েছে বছর বত্রিশের তরুণ নভোশ্চর, তেমনই ৫৫ বছরের অভিজ্ঞও রয়েছেন। তালিকায় অবশ্যই নাম রয়েছে গত বছর সদ্য মহাকাশ স্টেশনে ঘুরে আসা দুই মহিলা নভোশ্চর জেসিকা মেয়ার, ক্রিস্টিনা কোচের।
[আরও পড়ুন: মহাকাশ অভিযানে বাড়ছে বেসরকারি উদ্যোগ, এবার চাঁদে মহিলা নভোশ্চর পাঠাবেন আমাজন কর্তা]
বুধবার ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের বৈঠকে এই দলের সঙ্গে আলাপ -পরিচয় করেন আমেরিকার বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন, চাঁদে নভোশ্চর বিশেষত প্রথম মহিলা নভোশ্চর পাঠিয়ে আমেরিকা নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে। তাঁর মতে, মহাকাশ অভিযানকে আরও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে ‘আর্টেমিস মিশন’ই পথপ্রদর্শক।