সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহত হয়ে পড়েছিল অতিকায় দাঁতালটি। ভীমা নামের হাতিটির (Elephant) চিকিৎসার জন্যই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল তাঁকে অচৈতন্য করা। আর সেই কাজই ন্যস্ত হয়েছিল এক শুটারের উপরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হল তাঁর। তাঁকে তাড়া করে খুন করল হাতিটি।
ঠিক কী ঘটেছিল? কর্ণাটকের হাসানের আলুক তালুকে হাজির হয়েছিলেন এক শার্প শুটার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনবিভাগের কর্মীরাও। এইচ এইচ ভেঙ্কটেশ নামের ওই শুটারের উপরে দায়িত্ব ছিল হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি বুলেট ছুঁড়ে অজ্ঞান করার। আসলে সে আরেকটি হাতির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আহত হয়েছিল। তার চিকিৎসার জন্যই তাকে অচেতন করা দরকার ছিল।
[আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার মূল পাণ্ডা, আরও তথ্যের খোঁজে বিস্ফোরণস্থলে ড্রোন ওড়াল পুলিশ]
৬৪ বছরের ভেঙ্কটেশ বন দপ্তরের একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। বন্য প্রাণীদের গুলি করে অচেতন করাতে তিনি রীতিমতো দক্ষ ছিলেন। কিন্তু এদিন গুলি চালানোর আগেই ঘটে যায় অনর্থ। তাঁর হাতে বন্দুক দেখেই তাড়া করতে থাকে হাতিটি। চড়াও হয় তাঁর উপরে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভেঙ্কটেশকে হাসপাতালে ভরতি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বন দপ্তর।