সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জোড়া তালায় তিহাড়বন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তির পথে ইডি তালা খোলা সম্ভব হলেও সিবিআই তালার চাবি এখনও অধরা। এহেন পরিস্থিতিতেই সিবিআই জাল ছিঁড়তে আদালতে জোর সওয়াল করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে জামিন মামলার শুনানিতে কেজরির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানালেন, ইডির মামলায় জামিন নিশ্চিত হতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এই গ্রেপ্তারিকে 'ইনসিওরেন্স অ্যারেস্ট' বা 'বিমা গ্রেপ্তারি' বলে কটাক্ষ করেন সিংভি।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ২১ মার্চ থেকে জেলবন্দি কেজরিওয়াল। এর পর ইডির মামলায় শীর্ষ আদালত জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। তবে জামিনে মুক্তির আগেই কেজরিকে জেলেই গ্রেপ্তার করে সিবিআই। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চে জামিনের পক্ষে জোর জয়াল করে সিংভি বলেন, শুধুমাত্র মুক্তি আটকাতেই এই 'ইনসিওরেন্স অ্যারেস্ট' করেছে সিবিআই। পালটা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'অভিযোগ কী?' উত্তরে সিংভি জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে। অথচ এই মামলায় এফআইআরে নাম ছিল না কেজরিওয়ালের। অভিযোগ দায়েরের ৮ মাস পর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়। এবং সব শেষে মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে 'ইনসিওরেন্স অ্যারেস্ট' করা হয়। সিংভি আরও বলেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই এবং তাকে জামিন দেওয়া উচিত। এমন কী তাঁর মুক্তিতে কোনও তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। এ প্রসঙ্গে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন সিংভি।
[আরও পড়ুন: কোটায় ফের উচ্চাশার বলি, আত্মঘাতী নিট পড়ুয়া, চলতি বছরেই মৃত ১৫]
অন্যদিকে, আদালতে কেজরিওয়ালকে প্রভাবশালী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে সিবিআই। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল নিম্ন আদালত যেন এই জামিনের আবেদনের বিচার করে। কিন্তু উনি সুপ্রিম কোর্টে চলে এসেছেন। উনি প্রভাবশালী শুধু এই কারণেই উনি শীর্ষ আদালতে এসেছেন। ফলে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়া উচিত নয় বলে আবেদন জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির পর জামিন চেয়ে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি মোটেই অবৈধ নয়। গ্রেপ্তারির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এজেন্সির হাতে। ৫ আগস্ট এই মামলায় হাই কোর্টে কেজরির আবেদন খারিজ হওয়ার পর এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই মামলায় শীর্ষ আদালতে জামিনের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন কেজরির আইনজীবী।