সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ দিন ধরে গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসছিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুরে লুকিয়ে রয়েছেন মাওবাদী (Maoist) শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। ৯ মাওবাদী মারা গেলেও যৌথ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি, ২২ জওয়ান শহিদ হয়ে গিয়েছেন। আর মাওবাদীরা বিজাপুরের জঙ্গলে যেভাবে লড়ল এবং যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে হিদমার তথ্য দিয়ে ফাঁদে ফেলা হল জওয়ানদের।
হিদমার মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা। তাঁকে ধরতে গিয়েই কার্যত মাওবাদীদের পাতা ফাঁদে পড়তে হল জওয়ানদের। জওয়ানরা পৌঁছানোর আগেই মাওবাদীদের বড় একটি দল ওঁত পেতে বসেছিল এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল তারা।
জওয়ানরা সেখানে পৌঁছতেই তাঁদের চমকে দিয়ে হামলা শুরু করে মাওবাদীরা। এবং তারা সেই লড়াই খুব কাছ থেকে চালানোর প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীরা এতটাই কাছে ছিল যে এক জওয়ান বন্দুকের ম্যাগাজিন পরিবর্তন করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এক মাওবাদী তাঁর সামনে চলে আসে। প্রথমেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে জওয়ানের হাত কেটে দেয়। তারপর শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
[আরও পড়ুন: ‘এটা ইলেকশন নাকি বিজেপির সিলেকশন, কার প্রমোশন হচ্ছে নজর রাখছি’, বারুইপুরে কমিশনকে এক হাত মমতার]
পরিচয় গোপনের শর্তে এক অফিসার জানিয়েছেন, যেভাবে হিদমার সম্পর্কে মানব সূত্রে বা যান্ত্রিক (টেকনিক্যাল) উপায়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল তা যথেষ্ট বিরল। আর ওই নির্দিষ্ট জায়গাতেই মাওবাদীরা যে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তা দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা ফাঁদই ছিল।
মাওবাদীরা যথেষ্ট আধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তবে ডিহাইড্রেশনেও কিছু জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ আহত সহকর্মীদের কাঁধে নিয়ে ফেরার সময় জল বা খাবার ব্যাগ থেকে বার করে ওজন কমাতে হয়। ফলে ফেরার পথে জলের অভাবে কয়েক জনের মৃত্যু হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে ওই এলায় তল্লাশি চলাচ্ছেন জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে ২২, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন]
ছত্তিশগড়ের এই মাওবাদী হামলায় আগরতলার এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম শম্ভু রায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শহিদ জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।