স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার সিরিয়ার বিরুদ্ধে জিতলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ দেশে থাকবে। আর যদি ম্যাচটা ড্র হয় তাহলে ট্রফি চলে যাবে সিরিয়ায়। এমন পরিস্থিতিতে রাউন্ড রবিন পর্যায়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে ভারত।
গতবার এই ট্রফি জিতেছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। অবসরের পর এবার আর ভারতীয় দলে নেই সুনীল। তাঁর না থাকাটা যথেষ্টই টের পাচ্ছে ভারতীয় শিবির। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে মরিশাসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল ভারত। অন্যদিকে এই মরিশাসকে ২-০ গোলে হারিয়ে সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে যথেষ্ট সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে সিরিয়া। ইতিহাস বলছে, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে নেহেরু কাপের ফাইনালে এই সিরিয়াকে হারিয়েই ট্রফি জিতেছিল ভারত। এবারও কি সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে? ২০১৯ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে তৃতীয় হয়েছিল সিরিয়া। সেবার প্রতিযোগিতায় চতুর্থ হয়েছিল ভারত। কার্যত ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কেজ বলছেন, “দু’দলের জন্যই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। যারাই এই ম্যাচ জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। আশা করব এই ম্যাচটা জিতে টুর্নামেন্ট আবার চ্যাম্পিয়ন হব আমরা।” এখানেই থেমে থাকেননি। যোগ করেন, “এই টুর্নামেন্ট জেতার পাশাপাশি ভালো খেলতে হবে আমাদের। এটা ঠিক প্রতিযোগিতা জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।” সাংবাদিক সম্মেলনে আসা ফুটবলার জয় গুপ্ত বলছিলেন, “আমাদের লক্ষ্য হবে কত দ্রুত নতুন কোচের পরিকল্পনা মতো খেলাটা রপ্ত করা। দলের সব ফুটবলারই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামবে।”
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে ফের পর্তুগালকে জেতালেন রোনাল্ডো, গড়লেন নয়া নজিরও]
চোট আঘাত না থাকলেও সোমবার প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারেন মানোলো। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তার আভাসও দিয়ে গেলেন তিনি, “প্রাক মরশুম প্রস্তুতির সময় কোনও ফুটবলারই নিজেদের সেরা ফর্মে থাকে না। প্রথম ম্যাচের পর কয়েকজন ফুটবলারকে ক্লান্ত দেখেছি। স্কোয়াডে থাকা ২৫ জন ফুটবলারই সুস্থ। অনুশীলনে তাদের প্রত্যেককে দেখে ভালো লেগেছে আমার।” ভারত যেমন নতুন কোচের অধীনে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে যাত্রা শুরু করেছে। একই রকম ভাবে জোসে লানারও সিরিয়া কোচ হিসাবে এটাই প্রথম টুর্নামেন্ট। ভারতের মতো প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন লানার।