শুভঙ্কর বসু: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Hospital) আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। যদিও তাতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। ফলে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও সরকারি হাসপাতালটির জট কাটল না। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আগে অনশন প্রত্যাহার করুক জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর দ্রুত কাজে যোগ দিক। আর জি কর হাসপাতালের জট কাটাতে শনিবারই কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। সোমবারই তার প্রথম শুনানি ছিল। জট কাটাতে স্বাস্থ্যসচিবকে আগামী ২৯ অক্টোবর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
গত শনিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা কাটাতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেন নন্দলাল তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি। অক্টোবরের গোড়া থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই দ্রুত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে চিকিৎসা পরিষেবা ফেরাতে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে তিনি মামলা করেন। সোমবার উচ্চ আদালতে পূজা অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতিরা অনশন তুলে কাজে ফেরার নির্দেশ দেন জুনিয়র চিকিৎসকদের।
[আরও পড়ুন: ‘অভিজ্ঞতা কম হলেও ঠিকই বলেছেন’, অনুপমকে সমর্থন করে বিজেপির সমালোচনায় তথাগত]
এদিন আদালতের শুনানিতে হাজির ছিলেন অনশনকারী এক ডাক্তার। বিচারপতিদের নির্দেশ শুনে তিনি জানান যে অনশনকারী অন্য সতীর্থদের সঙ্গে কথা না বলে তিনি অনশন প্রত্যাহার নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না। তিনি নিজেও যে অনশন চালিয়ে যেতেই আগ্রহী, তাও স্পষ্ট করে দেন। এরপর বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত তাঁকে সময় দেন।
[আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ভরতি এসএসকেএম হাসপাতালে]
বিষয়টি নিয়ে সরকারি আইনজীবীর মতামতও শোনেন বিচারপতিরা। তারপর আগামী ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবকে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করার নির্দেশ দেন। বলা হয়, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের টিমটি আলোচনা করে সেখানেই সমাধান বের করবে। সবদিক বজায় রেখে যাতে এবার সুনির্দিষ্ট সRGমাধান বের হয়, তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। তারপর হাই কোর্ট এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিনক্ষণ স্থির করবে। এই মুহূর্তে ২৯ অক্টোবরের বৈঠকের দিকেই নজর সবপক্ষের।