shono
Advertisement

দলীয় মুখ নিয়ে সংশয়, রাজস্থানে ভোটের আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব কং-বিজেপিতে

রাজস্থান নিয়ে দোলাচলে নাড্ডা-শাহরা।
Posted: 02:01 PM Feb 20, 2023Updated: 02:01 PM Feb 20, 2023

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজস্থানে (Rajasthan), রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। রাজস্থানে শাসক কংগ্রেস (Congress) হোক বা বিরোধী বিজেপি (BJP), দু’পক্ষই জেরবার চরম অন্তর্কলহে। একদিকে কংগ্রেসে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তরুণ তুর্কি শচীন পাইলটের মধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন, তা নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে। অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, নাকি বর্তমান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়া, কাকে সামনে রেখে দল নির্বাচনে লড়বে, তা নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।

Advertisement

কংগ্রেসের পরিস্থিতি বিজেপির তুলনায় বেশি ঘোরালো। দলের এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে বলে মন্তব্য করে সদ্য হাইকম্যান্ডের উপর চাপ বাড়িয়েছেন শচীন। আবার গেহলটকে চটালে রাজস্থান যে তাদের হাতছাড়া হওয়া নিশ্চিত, তা ভালই জানে কংগ্রেস। চলতি মাসে রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন রয়েছে। সেখানে রাজস্থান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে, বিজেপিতে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই নির্বাচন লড়ার চল শুরু হয়েছে। দু’-একটি রাজ্যে ব্যতিক্রম হলেও রাজস্থানে সেই একই ধারা মেনে চলা হবে বলে ঠিক করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই বসুন্ধরা-পুনিয়ার মধ্যে মূল লড়াই শুরু হয়েছে কাকে দল নির্বাচনে গুরুত্ব দেবে তা নিয়েই। যা নিয়ে রীতিমতো দোলাচলে রয়েছেন জে পি নাড্ডা-অমিত শাহরা।

[আরও পড়ুন: ‘অবসরের পর বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হোক’, মত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির]

জানুয়ারি মাসের শেষদিকে পুনিয়া বসুন্ধরা-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত রাজ্যের আট জেলা সভাপতিকে বদলে নিজের পছন্দের লোক বসিয়েছেন। পুনিয়ার শিবিরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও। যিনি আবার মোদির পছন্দের লোক। মোদি-শাহর সঙ্গে আবার বসুন্ধরার সম্পর্ক বিশেষ মধুর নয় বলেই বিজেপি শিবিরে কান পাতলে শোনা যায়। সাদা চোখে দেখলে পুনিয়ার পাল্লা ভারী বলে মনে হলেও বসুন্ধরাকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে রাজস্থানে ক্ষমতা দখল করা যে কঠিন, তা ভালভাবেই জানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার আগেই বিকল ছিল মোরবি সেতুর অর্ধেক কেবল! চাঞ্চল্যকর তথ্য গুজরাট সরকারের তদন্তে]

গত বিধানসভা নির্বাচনে বসুন্ধরাকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই সেখানে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছিল বলে মনে করে বিজেপির একাংশ। মরুরাজ্যের রাজনীতিতে বসুন্ধরার প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই কীভাবে দু’দিক সামলানো যায় তার রাস্তা খুঁজছে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের ভোট মিটলেই রাজস্থান নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা নিতে পারে বিজেপি। তবে তার আগে অন্তর্কলহ সামলাতে কংগ্রেস কী করে, সেদিকে চোখ রয়েছে বিজেপির। তা দেখে নিয়েই নিজেদের রণকৌশল ঠিক করবেন নাড্ডা- শাহরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement