shono
Advertisement
Swapnil Kusale

'অলিম্পিক পদক খিদে বাড়িয়ে দিল', ব্রোঞ্জ জিতে বলছেন স্বপ্নিল

দেশের জন্য কিছু করতে পারার মাহাত্ম্যই আলাদা, বলছেন স্বপ্নিল।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 04:10 PM Aug 02, 2024Updated: 05:21 PM Aug 02, 2024

বোরিয়া মজুমদার ও এস কান্নান, প্যারিস: বক্তার নাম স্বপ্নিল কুসালে (Swapnil Kusale)। পঞ্চাশ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশনে বৃহস্পতিবার ব্রোঞ্জ জিলেন যিনি। এবং ইতিহাসের পর তিনি যা বললেন...

Advertisement

প্রশ্ন: পঞ্চাশ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ জিতলেন আপনি। যা কোনও ভারতীয় আজ পর্যন্ত করে দেখাতে পারেননি। পদক গলায় নিয়ে কী মনে হচ্ছিল? এখনই বা কী মনে হচ্ছে?
স্বপ্নিল: সত‌্যি বলব?

প্রশ্ন: বলুন না।
স্বপ্নিল: খিদে পাচ্ছে (হাসি)। অনেকক্ষণ কিছু খাওয়া হয়নি। তবে পদক গলায় নিয়ে অসম্ভব গর্বিত লাগছিল। অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করছিলাম আমি। দেশের জন‌্য কিছু করতে পারার মাহাত্ম‌্যই আলাদা।

প্রশ্ন: খিদেটা কি শুধুই পেটের? নাকি আরও পদকেরও?
স্বপ্নিল: দু’টোরই বলতে পারেন (হাসি)। আজকের পর পদক জয়ের খিদে তো আরও বেড়ে গেল।

প্রশ্ন: আপনার শেষ দু’দিন নিয়ে একটু বলুন না। শেষ পর্বে খুব শান্ত দেখাচ্ছিল আপনাকে।
স্বপ্নিল: আমার কোচেরা একটা কথা প্রায়ই বলে থাকেন। ওঁরা বলেন যে, মাথা ঠান্ডা না রাখলে কিছু পাওয়া যায় না। কিছু জেতা যায় না। তাই নিজেকে যতটা সম্ভব রিল‌্যাক্সড রাখার চেষ্টা করছিলাম। তার পরেও বুকের ধুকপুকানি শুনতে পাচ্ছিলাম স্পষ্ট।

প্রশ্ন: মানে টেনশন হচ্ছিল।
স্বপ্নিল: চেষ্টা করছিলাম নিয়ন্ত্রণে রাখার। তবে সব সময় থাকছিল না।

[আরও পড়ুন: সর্বস্ব দিয়েও হল না শেষরক্ষা, আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার শপথ ‘যোদ্ধা’ নিখাতের

প্রশ্ন: আপনি দীপালি দেশপাণ্ডের ছাত্র। অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ের পর ফোন করেছিলেন শুনলাম।
স্বপ্নিল: হ‌্যাঁ। কথা বলতে বলতে আমি কেঁদেও ফেলেছিলাম। দেখুন, দীপিকা ম‌্যাডাম আমার মায়ের মতো। উনি আমাকে সব সময় সমর্থন করেন। যখন যা চেয়েছি, কখনও না করেননি। আমি অলিম্পিক পদক জেতার পর অসম্ভব খুশি শোনাচ্ছিল ওঁর গলা। দিন শেষে ওঁর ছাত্র দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ করল। আমি অসম্ভব সম্মান করি দীপালি ম‌্যাডামকে। যে সম্মান চিরকাল একই রকম থাকবে।

প্রশ্ন: মনু ভাকের মোটিভেশন হিসেবে কাজ করেননি?
স্বপ্নিল: করেছে তো। মনু এবং সরব‌জ‌্যোত দু’জনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছি অলিম্পিক পদক জেতার পর। ওরা দু’জনেই বিশ্বাসটা দিয়েছিল যে, অলিম্পিক শুটিংয়ে আমাদের, ভারতীয়দের পক্ষেও পদক জেতা সম্ভব।

প্রশ্ন: প়ঞ্চাশ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশন ব‌্যাপারটা আম দর্শকের কাছে খুব একটা স্পষ্ট নয়। একটু বলুন না, ঠিক কতটা চ‌্যালেঞ্জের মধ‌্যে আপনাদের পড়তে হয়?
স্বপ্নিল: আমাদের কাজটা খুব একটা সহজ নয়। বেশ চ‌্যালেঞ্জিংই বলতে পারেন। আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে অনেক সময়ই লড়তে হয়। কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম। আবহাওয়া তো আর আমাদের সুবিধে দেখবে না। কখনও কখনও আমাদের সেই আবহাওয়ার চ‌্যালেঞ্জের মধ‌্যে দিয়ে যেতে হয়। ফোকাস হারালে আমাদের চলে না।

[আরও পড়ুন: ‘এবার রনজি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে বাংলা’, লক্ষ্মী স্যরের ড্রেসিংরুমে গিয়ে পেপটক শামির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করছিলাম আমি। দেশের জন‌্য কিছু করতে পারার মাহাত্ম‌্যই আলাদা।
  • ওরা দু’জনেই বিশ্বাসটা দিয়েছিল যে, অলিম্পিক শুটিংয়ে আমাদের, ভারতীয়দের পক্ষেও পদক জেতা সম্ভব।
  • আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে অনেক সময়ই লড়তে হয়। কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম।
Advertisement