টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার শিশু পাচারে এবার যৌনপল্লির যোগ? যৌনপল্লির শিশুদের পাচার করা হত বলে উঠছে অভিযোগ। একাধিক ধৃতের সঙ্গে দুর্গাপুর যৌনপল্লির সরাসরি যোগ রয়েছে বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে। এই ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া পুলিশ।
বাঁকুড়ার জওহর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই তদন্ত নেমে ক্রমশ কেঁচো খুঁড়তে কেউটের হদিশ মিলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনা ধৃত রিয়া বাদ্যকর, সুমিতা বাদ্যকর এবং স্বপনকুমার দত্তের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগ মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রিয়া বাদ্যকরের মা হলেন সুমিতাদেবী। তিনি আগে পতিতালয়ে কাজ করতেন। বয়স হয়ে যাওয়া কাজ হারিয়েছেন তিনি। এদিকে বাঁকুড়ায় পরিচারিকার কাজ করতেন রিয়া। লকডাউনের সময় কাজ হারিয়ে অনটনে চলছিল পরিবারে।
[আরও পড়ুন: ডাকঘরে হঠাৎই ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান! অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা কর্মীর, Video দেখে আঁতকে উঠবেন]
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ৯ মাসের শিশুটি রিয়ার সন্তান। সুমিতাদেবী বুঝিয়ে সুজিয়ে রিয়ার সন্তানকে ‘পাচার’ করেছিল। এই চক্রের টাকা পয়সা লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন সুমিতাদেবী। আর এই বিষয়ে যোগ ছিল বাঁকুড়ার স্কুলের প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়ারও। পুলিশের অনুমান, প্রিন্সিপালের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন আরেক ধৃত স্বপনকুমার দত্ত। দুর্গাপুর যৌনপল্লির সামনে তাঁর দোকান রয়েছে। এই সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
জানা গিয়েছে, ৯ মাসের বাচ্চাটিকে পাচারের পরিবর্তমে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা পেয়েছিল রিয়ার পরিবার। তাদের বাড়ি থেক ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে উদ্ধার করা পাঁচ শিশুকে দেখতে বাঁকুড়ার হোমে এসেছিলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়ও। দুজনই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি আমজনতাকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন।