সৌরভ মাজি, বর্ধমান: তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলনে চরম বিশৃঙ্খলা। বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে কর্মীদের মধ্যে চলল কাড়াকাড়িও। রবিবার এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গোলমাল কিছু হয়নি, আমন্ত্রিতর থেকে বেশি কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। দূরদূরান্ত থেকে এসেছিলেন তাঁরা। ফলে টিফিনের প্যাকেট নিতে তাঁরা হুড়োহুড়ি করছিলেন। লাইন দিয়ে তা না নেওয়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু তা সাময়িক।
রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সংখ্যালঘু সেলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছিলের তৃণমূলূর রাজ-সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মহম্মজ আশরাফ উদ্দিন (বাবু)-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে আরও মজবুত করা এবং সাধারণ মানুষের আরও কীভাবে জনসংযোগ বাড়াতে হবে সেই সব বিনয়ে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। সভায় জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বাম আমলে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে সংখ্যালঘুদের কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। তৃণমূল সরকার আসার পর সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাজেট বাড়িয়েছেন। ৪৭২ কোটি টাকা থেকে বাজেট বাড়িয়ে চলতি বছরে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি।” পাশাপাশি এছাড়া মাদ্রাসা গুলির মান উন্নয়ন করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: পুকুরের নিচ থেকে উঠে এল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি! ঐতিহাসিক সামগ্রী নিয়ে শোরগোল কুমারগঞ্জে]
সভা শেষে সম্মেলনে আগত দলীয় কর্মীদের জন্য আহারের প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তৃণমূলের এই শাখা সংগঠনের তরফে। সভাস্থলের পাশে একটি কাউন্টারও করা হয়েছিল। সেখানে আচমকা বহু ভিড় করেন খাবারের প্যাকেট নিতে। একসঙ্গে বহু মানুষ ভিড় করায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কয়েকটি প্যাকেটের খাবার মাটিতেও পড়ে যায়। খাবারের প্যাকেট কম পড়ায় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফের খাবার আনার ব্যবস্থা করেন। গাড়ি ঘিরেও প্যাকেট নিয়ে কর্মীরা কাড়াকাড়ি শুরু করেন। অভিযোগ, অনেকে খাবারের প্যাকেট না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।