রাজস্থান রয়্যালস: ১৬০/৮ (রাহানে-৩৬, শর্ট-৪৪)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬৩/৩ (উথাপ্পা-৪৮, কার্তিক-৪২*)
৭ উইকেটে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ শেষ হতেই কলকাতার আকাশ ভরল আতশবাজির রোশনাইয়ে। না, খেলা তো ইডেনে নয়। রাজস্থানে। তাতে কী? কলকাতাবাসী যে সবসময় কিং খানের দলের সঙ্গে রয়েছেন, তা বোঝাতে আতশবাজিই যদি মাধ্যম হয়, ক্ষতি কী! আসলে যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন দীনেশ কার্তিকের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা বেড়ে যাচ্ছে নাইটভক্তদের। গত ম্যাচে গম্ভীরকে হারিয়ে নাইট সংসারের নয়া অধ্যায় শুরু করেছিলেন। আর এবার তাঁর হাতেই শাপমুক্তি ঘটল। এক কথায়, ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট। এর চেয়ে আর বেশি কীই বা চাইতে পারেন কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা! মরুভূমিতে জলের দেখা পেয়েছে কেকেআর। তাই কলকাতায় সেলিব্রেশনে ঘাটতি হল না।
[শহরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রমরমা বেটিং চক্র, গোয়েন্দাদের জালে ৩ ‘বুকি’]
এবার আসা যাক রাজস্থানের কথায়। ব্যাটিং? মন ভরাল না। বোলিংও তথৈবচ। গোটা ম্যাচে রাজস্থানের একটি দৃশ্যই নজর কাড়ল। বেন স্টোকসের দুর্দান্ত একটা ক্যাচ। যা উথাপ্পার হাফ-সেঞ্চুরিটা রুখে দিল। আর বাকি সময় সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে চলল নাইট রাজত্ব। কে বলবে, অ্যাওয়ে ম্যাচ। কে বলবে কিং খানের দলের সমর্থকের সংখ্যা হাতে গোনা! নাইটবাহিনীর যেন কিছুতেই কিছু যায় আসে না। জয়ের নেশাতেই বুঁদ তারা। দিনের শেষে লিগ তালিকায় দুটো অতিরিক্ত পয়েন্টের খোঁজেই যেন সর্বক্ষণ সাধনা করে চলেছেন কার্তিকরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দিল্লি ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এদিন রয়্যালসকে হেলায় হারাল কেকেআর।
দলে যখন আইপিএলের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া বেন স্টোকস থাকেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক থাকতে হয় বিপক্ষকে। আবার তিনি তো একা নন। মোটা অঙ্ক দিয়ে কেনা ভারতীয় বোলার জয়দেব উনাদকাটও তো একই দলে। অর্থাৎ খাতায়-কলমে লড়াই বেশ কঠিন। কিন্তু কোথায় কী? এমন ভাবনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন পীয়ূষ চাওলা, উথাপ্পারা। যাঁকে রাজস্থানের শক্তিস্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়েছিল, সেই স্টোকস ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। দুই ওপেনার রাহানে ও শর্ট ছাড়া ক্রিজে টিকতেই পারলেন না কেউ। ব্যাটিংয়ের মতোই একই হাল রাজস্থানের বোলিং বিভাগেরও। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও নেই। নাইটদের সামনে কার্যত আত্মসমর্পণই করে দিলেন তাঁরা। স্টোকস ফর্মে না ফিরলে আগামিদিনেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে রাহানেদের।
[আইপিএল-এর ইতিহাসে রানের রেকর্ড গড়েও মন ভাল নেই বিরাটের]
জয়পুরের এই স্টেডিয়ামে শেষবার কেকেআর জিতেছিল যখন গৌতম গম্ভীর প্রথম নাইট নেতা হয়েছিলেন। তারপর সাতটা বছর কেটে গিয়েছে। গত দু’বছর যদিও রাজস্থান টুর্নামেন্টের বাইরে ছিল। তবে ক্যালেন্ডারের হিসেবে সাত বছরে আর একবারও এখানে জয়ের মুখ দেখেনি কেকেআর। বুধ সন্ধেয় রানা (৩৫*)-কার্তিক জুটিতে শাপমুক্তি হল। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটা ইনিংসের পাশাপাশি দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়ে গেলেন রানা। গত ম্যাচেও জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন এই ক্রিকেটারই। তবে এদিন আর আন্দ্রে রাসেলের পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ হল না। তার আগেই রাজস্থানকে দুরমুশ করে জয় পকেটে পুরল কলকাতা।
The post ‘শাপমুক্ত’ কেকেআর, দুরন্ত নাইটদের কাছে আত্মসমর্পণ রাজস্থানের appeared first on Sangbad Pratidin.