দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ২২৮/৪ (শ্রেয়স ৮৮*, রাসেল ২/২৯)
কেকেআর: ২০ ওভারে ২১০/৮ (রানা ৫৮, নর্ৎজে ৩/৩৩)
দিল্লি ১৮ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারজার ছোট মাঠ। আগের প্রত্যেক ম্যাচে ২০০ রান উঠেছে অনায়াসে। আর সেটাই হল শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) ম্যাচে। কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত হারতে হল কেকেআরকে। ব্যর্থ হল মর্গ্যান এবং রাহুল ত্রিপাঠির দুরন্ত লড়াইও। ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৮ রান দূরেই থেমে যায় কলকাতার ইনিংস। দিল্লির হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক শ্রেয়স এবং পৃথ্বী। অন্যদিকে, বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পেসার নর্ৎজে এবং হর্ষল প্যাটেলের দুরন্ত স্পেলই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল নাইটদের।
[আরও পড়ুন: ‘চুল কালো করলেই বয়স কমে না’, ধোনিকে অসম্মান করে নেটিজেনদের তীব্র রোষানলে KRK]
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অন্যান্য ম্যাচের মতো এদিন শুরুতে উইকেট পাননি KKR বোলাররা। দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী এবং শিখর ছিলেন মারমুখী মেজাজে। প্রথম থেকেই ওভার প্রতি দশরান তুলছিলেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন ধাওয়ান। তবে এরপর পৃথ্বী এবং অধিনায়ক শ্রেয়স দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পৃথ্বী আউট হওয়ার আগে করেন ৪১ বলে ৬৬ রান। মারেন চারটি চার এবং চারটি ছয়। তিনি আউট হওয়ার পন্থের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শ্রেয়স। ১৭ বলে ৩৮ রান করে পন্থ আউট হয়ে গেলেও মাত্র ৩৮ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন দিল্লি অধিনায়ক। মারেন ৭টি চার ও ৬টি ছয়। তাঁর হাত থেকে রেহাই পাননি কেউই। তবে এই পিচেও দুরন্ত বোলিং করেছেন আন্দ্রে রাসেল। চার ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিন্তু চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ৩ রানে আউট হয়ে যান নারিন (Sunil Narine)। গিল অন্যান্যদিনের মতো ভাল শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২৮ রান করে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে, রানা দলের হাল ধরলেও এদিনও ব্যর্থ হন অধিনায়ক কার্তিক (৬)। এমনকী ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেননি ক্যারিবিয়ান তারকা রাসেলও (Andre Russell) (১৩)। কিন্তু দিনটা বোধহয় ছিল মর্গ্যান–ত্রিপাঠির। না হলে শেষ চার ওভারে যেখানে দরকার ছিল ৭৮ রানের, সেখানে পরপর দু’ওভারে আসে ৪৭ রান। ফলে শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য কেকেআরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩১ রান। কিন্তু ১৯ তম ওভারে আগুনে ফর্মে থাকা মর্গ্যানকে আউট করেন নর্ৎজে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ১৮ বলে ৪৪ রানের মধ্যে মর্গ্যান একটি চার ও পাঁচটি ছয় মেরেছেন। এর মধ্যে আউট হওয়ার আগের ওভারেই রাবাডাকে পরপর তিন বলে তিনটি ছয়ও মেরেছিলেন। এদিকে, মর্গ্যান আউট হওয়ার পর ১৯ তম ওভারে আসেও মাত্র পাঁচ রান। ফলে শেষ ছয় বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের। কিন্তু প্রথম বলে চার মারলেও পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি। ফলে তাঁর ১৬ বলে ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি ব্যর্থ হয়।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে ফের গড়াপেটার ছায়া! এক ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বুকির]
আসলে দিল্লি বোলারদের মধ্যে নর্ৎজে এবং হর্ষলের ওভারগুলোই মূলত পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে ১৩ তম ওভারে রানা এবং কেকেআর অধিনায়ক কার্তিককে পরপর দু’বলে আউট করেন হর্ষল। এছাড়া ১৯ তম ওভারে মর্গ্যানের আউটটাও নাইটদের ম্যাচে আর ফিরে আসতে দেয়নি। দিল্লি বোলারদের মধ্যে নর্ৎজে তিনটি এবং হর্ষল দু’টি উইকেট নেন।