দীপ দাশগুপ্ত: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে KKR-কে খারাপ ভাবে হারতে দেখে অনেক নাইট সমর্থকই হয়তো আশঙ্কা করছেন যে, শনিবার ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে কী হবে? পরিষ্কার বলছি, আতঙ্কে ভোগার কোনও কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, পাঁচ মাস পর ক্রিকেটাররা আবার মাঠে নেমেছে। ছন্দে ফিরতে ওদের সময় লাগবে। দু’টো ম্যাচ যেতে দিন। দেখবেন, ঠিক যে যার পুরনো জায়গায় চলে এসেছে। তবে হ্যাঁ, প্লিজ, নিলামে কাকে কত টাকা দিয়ে টিম কিনেছে, সেই অনুযায়ী তার ব্যালান্স শিট তৈরি করতে বসবেন না!
[আরও পড়ুন: ওপেনার থেকে স্পিনার, সবাইকেই কটাক্ষ! টানা দু’ম্যাচ হেরে ‘অজুহাত’ খুঁজছেন ধোনি]
প্যাট কামিন্সের কারণে কথাটা বললাম। মানছি, কামিন্স সে দিন একেবারেই ভাল করেনি। শর্ট অব লেংথ করে করে রোহিতকে পুল মারার সুযোগ বারবার দিয়েছে। আর পুল মারার বল পেলে রোহিত (Rohit Sharma) কী করতে পারে না পারে, সবাই জানে। কিন্তু কামিন্স যত দূর জানি, সে দিনই বায়ো বাবল থেকে বেরিয়ে সোজা খেলতে নেমে পড়েছিল। একটা প্র্যাকটিস সেশনও পায়নি। কাজটা কি খুব সহজ? আশ্চর্য হয়ে দেখছি যে সবাই বলছেন, নিলাম থেকে সাড়ে পনেরো কোটি দিয়ে কামিন্স কিনে লাভ কী হল? তিন ওভারে চল্লিশ দিচ্ছে, একটা উইকেট তুলতে পারছে না। আরে, সাড়ে পনেরো কোটি দিয়ে কামিন্স কিনলে কামিন্সকে রাতারাতি আরও ভাল বোলার হয়ে যাবে নাকি? প্লেয়ার হিসেবে তো একই থাকবে।
কেকেআরের বোলিং নিঃসন্দেহে একটা চিন্তার জায়গা। পেসারদের অনেকেই তরুণ। যাদের প্রতিভা আছে, কিন্তু কতটা তারা ম্যাচ জেতাতে পারবে, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। সুনীল নারিনের (Sunil Narine) গত চার-পাঁচ বছর ধরে অ্যাকশন নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) গত বছর থেকে ফর্মে নেই। কমলেশ নাগরকোটি, শিবম মাভি– এরা গত দু’বছর খেলেইনি। সন্দীপ ওয়ারিয়রও চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিল। তা হলে? প্রবলেম তো ছিলই। আগে কেকেআর (Kolkata Knight Riders) ম্যাচ জিতত কারণ মাঝের ওভারে স্পিনাররা উইকেট নিত। কখনও পীযুষ চাওলা, কখনও নারিন, কখনও কুলদীপ। কিন্তু মুম্বই ম্যাচে সেটা হল কোথায়?
অতএব– বোলিংয়ে শৃঙ্খলা চাই। আজ, শনিবারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচেও চাই। খেয়াল করে দেখুন, মুম্বই ম্যাচটা নাইটদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বই টপ অর্ডার। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব মিলে। হায়দরাবাদেরও কিন্তু আসল শক্তি হল ওদের টপ অর্ডার। ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পাণ্ডে। কেকেআর যদি বোলিংয়ে ডিসিপ্লিন না আমদানি করতে পারে, তা হলে আজও একই হাল হতে পারে। ডিসিপ্লিন বলতে বোঝাতে চাইছি, শর্ট না করা। যা আগের দিন কামিন্স, ওয়ারিয়ররা করে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, ৫ বছরের চুক্তিতে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দিলেন সন্দেশ জিঙ্ঘান]
কাগজে কলমে সানরাইজার্সের চেয়ে কেকেআর এগিয়ে। শুধু বোলিংয়ে শৃঙ্খলা ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে কেকেআরকে আরও একটা জিনিস করতে হবে। আন্দ্রে রাসেলের (Andre Russell) ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করা। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দীনেশ কার্তিককে তিন নম্বরে নামতে দেখে অবাক হইনি। ডিকে বা মর্গ্যান দু’জনের একজনে তিন আর অন্য জনকে পাঁচে খেলতে হবে। খেলা চালানোর জন্য। কিন্তু সে দিন কেন রাসেল ছয়ে যাবে? আমার মতে, বড় রান তাড়া করতে হলে বা প্রথমে ব্যাট করে সুবিধেজনক অবস্থায় থাকলে রাসেলকে সোজা তিনে পাঠানো উচিত।
The post খাতায় কলমে এগিয়ে থাকলেও হায়দরবাদের বিরুদ্ধে বোলিংয়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে কেকেআরকে appeared first on Sangbad Pratidin.