সৌরাশিস লাহিড়ী: দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)– এই দু’টো টিমকে পাশাপাশি রাখলে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাওয়া যাবে। আমিরশাহি আইপিএলের শুরুতে দিল্লিকে যতটা অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল, ঠিক ততটা অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে এখন সানরাইজার্সকে। আবার আইপিএলের শুরুতে সানরাইজার্সকে যতটা শতছিন্ন দেখাচ্ছিল, দিল্লিকে এখন সেটা দেখাতে শুরু করেছে! তাই আজ একটু হলেও সানরাইজার্স এগিয়ে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এ রকম প্রত্যাবর্তনের পিছনে দু’টো কারণ দেখছি। এক, ঋদ্ধিমান সাহা। দুই, জেসন হোল্ডার। জনি বেয়ারস্টো চরম অফ ফর্মে থাকায় ওপেনিং নিয়ে ভুগছিল সানরাইজার্স। কিন্তু ঋদ্ধিমান ওপেনিংয়ে আসার পর থেকে ওদের ওপেনিংটাই পাল্টে গিয়েছে। তবে রবিবার ঋদ্ধি খেলতে পারবে কি না, জানি না। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট এত দ্রুত তো সারে না। কিন্তু ঋদ্ধি না থাকলেও দ্বিতীয় জন খেলবে। হোল্ডার।
[আরও পড়ুন: IPL থেকে ছিটকে গিয়ে আবেগঘন মন্তব্য কোহলির, সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ডিভিলিয়ার্স]
হোল্ডারের সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানকেও ভয় পায় না। পাওয়ার প্লে-তে দেখবেন পরের পর নাকল বল, ইয়র্কার করে যাচ্ছে। হোল্ডার নিয়ে বেশি হইচই করা হয় না বলে লোকে খেয়াল করে না। কিন্তু ওর ইকোনমি, বোলিং গড় যদি দেখেন, তা হলে সেটা জসপ্রীত বুমরার চেয়ে কিন্তু খুব পিছিয়ে থাকবে না। তার উপর টি নটরাজন। যত দিন যাচ্ছে, তত যেন ওর ইয়র্কারগুলো ধারালো হচ্ছে। সানরাইজার্স সংসার থেকে ভুবনেশ্বর কুমারের মতো পেসার ছিটকে গিয়েছে টুর্নামেন্টের শুরুতে। কিন্তু তাতেও কী দুর্দান্ত সামলে নিয়েছে ওরা! এর পরেও থাকবে রশিদ খান। যার কথা ছেড়েই দিলাম।
নিঃসন্দেহে সানরাইজার্স বোলিংয়ের তুলনায় দিল্লি বোলিং নামে অনেক এগিয়ে। কিন্তু ফর্মে নিশ্চিত নয়। একটা সময় দিল্লির দক্ষিণ আফ্রিকান পেস জুটি কাগিসো রাবাডা আর আনরিক নর্ৎজেকে আইপিএলের সেরা পেস জুটি মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন দু’জনেই যেন একটু ছন্দ হারিয়েছে। ব্যাটিংয়ে দু’টো টিমের মধ্যে ফারাক হয়ে যেতে পারে মিডল অর্ডারে। দিল্লি মিডল অর্ডারে যারা আছে, সেই ঋষভ পন্থরা কবে খেলবে, নিজেরাও জানে না। সেখানে সানরাইজার্স মিডল অর্ডারে কেন উইলিয়ামসন আছে। কেন তো আরসিবি ম্যাচটাও অসম্ভব ঠাণ্ডা মাথায় বার করে দিল। তাই দু’দিকেই শক্তিশালী হায়দরাবাদই।