কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৭১/৬ (রাহুল ত্রিপাঠি ৪৫, নীতীশ ৩৭, কার্তিক ২৬, শার্দূল ২/২০)
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৭২/৮ (ঋতুরাজ ৪০, দু’প্লেসিস ৪৪, মঈন আলি ৩২, নারিন ৩/৪১)
চেন্নাই সুপার কিংস দুই উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হল না জয়ের হ্যাটট্রিক। আমিরশাহীতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore), মুম্বইকে (Mumbai Indians) হারানোর পরও চেন্নাইয়ের (Chennai Super Kings) কাছে হেরে থমকে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বিজয়রথ। ত্রিপাঠি, নীতীশ, কার্তিকদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান তুললেও শেষপর্যন্ত সেই রান তুলে ফেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটসম্যানরা। ধোনি ব্যর্থ হলেও ঋতুরাজ, দু’প্লেসিস, জাদেজার দুরন্ত ব্যাটিং চেন্নাইকে জিতিয়ে দিল। শেষ বলে অবশ্য জয়সূচক রানটি করেন দীপক চাহার। ফলে নির্দিষ্ট ২০ ওভার ব্যাটিং করে দুই উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় সিএসকে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। কিন্তু প্রথম ওভারেই গত ম্যাচের নায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান শুভমন গিল। এরপর রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ভেঙ্কটেশ। কিন্তু দলের ৫০ রানের মাথায় আউট হন তিনিও। পরবর্তীতে দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক ইওন মর্গ্যানও (৮)। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ক্যাচ নেন ফাফ দু’প্লেসিস। এরপর নীতীশ রানা এবং রাহুল ত্রিপাঠির জুটি দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষদিকে রাসেল (২০) এবং দীনেশ কার্তিক ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান তুলে ফেলে নাইটরা।
[আরও পড়ুন: ফের বড় চমক, চেলসির প্রাক্তন প্রশিক্ষককে গোলকিপার কোচ নিয়োগ করল SC East Bengal]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুরন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনাররা। একসময় মনে হয়েছিল সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরে আসে নাইটরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ডেথ ওভারে জাদেজার দুরন্ত ব্যাটিং চেন্নাইকে জয়ের দোরগোরায় পৌঁছে দেয়।
শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল মাত্র চার রান। সুনীল নারিন বল হাতে কিছুটা চেষ্টা করেও শেষে আর দলের হার বাঁচাতে পারেননি। শেষ বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১ রান। আর সেই বলে জয়ের রান তুলে নেন চেন্নাইয়ের দীপক চাহার। এই ম্যাচ জেতায় চেন্নাই লিগ টেবিলে শীর্ষেই রয়ে গেল। অন্যদিকে, হেরে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গেল নাইটরা।