চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৮৮/৭ (রায়না ৫৪, মঈন ৩৬, ওকস ২/১৮)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৮.৪ ওভারে ১৯০/৩ (ধাওয়ান ৮৫, পৃথ্বী ৭২, ব্র্যাভো ১/২৮)
দিল্লি ক্যাপিটালস সাত উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষানবীশ বনাম মাস্টার ডিগ্রি করা ছাত্রের যুদ্ধ বলতে পারেন! আবার একলব্য বনাম দ্রোণাচার্যর যুদ্ধও বলা যেতে পারে! শনিবারের ওয়াংখেড়েতে ঋষভ পন্থ বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) মগজাস্ত্রের লড়াইয়ের এরকমই নামকরণ করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আর সেই যুদ্ধে শেষপর্যন্ত বাজিমাত করলেন শিষ্য ঋষভ পন্থ। অধিনায়কত্ব কিংবা ব্যাটিং দুই ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলেন মাহি। চেন্নাইয়ের (Chennai Super Kings) দেওয়া ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে হাসতে হাসতেই ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)।
দীর্ঘদিন পর ফের চেন্নাইয়ের জার্সিতে এদিন টস করতে নামলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। উলটোদিকে ছিলেন শ্রেয়সের জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ঋষভ। দু’জনেই হাসিমুখে টস করতে নামলেন। যে দৃশ্য দেখে অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘নিজের উত্তরসূরির হাতে রাজ্যপাট তুলে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।’ তবে টস জেতার দিক থেকে সিনিয়রকে এদিন টেক্কা দিলেন ঋষভ।
[আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে IPL দেখতে লাগবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট? কী জানাল বোর্ড?]
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক। আর ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া হার্টথ্রব ঋষভের এই সিদ্ধান্তকে যোগ্য মর্যাদাও দিলেন তাঁর বোলাররা। শুরুতেই ঋতুরাজ (৫) এবং ডু’প্লেসিসের (০) উইকেট হারায় চেন্নাই। এরপর অবশ্য ইনিংসের হাল ধরেন মঈন আলি এবং দীর্ঘদিন পর মাঠে নামা সুরেশ রায়না। মঈন ৩৬ রানে আউট হলেও সুরেশ রায়না দুরন্ত অর্ধ-শতরান করলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তিনি। তার আগে মাত্র ৩৬ বলে করলেন ৫৪ রান। এরপর রায়ডু (২৩), জাদেজা (২৬*) এবং শেষদিকে স্যাম কুরানের ঝোড়ো ব্যাটিং চেন্নাইকে পৌঁছে দেয় ১৮৮ রানে। মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন কুরান। মারেন চারটি চার ও দু’টি ছয়। তবে সবার যেদিকে নজর ছিল সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্য এদিন খাতাই খুলতে পারেননি। মাত্র দু’বল খেলে আবেশ খানের বলে বোল্ড হন তিনি। ফলে রীতিমতো আশাহত হন ধোনি ভক্তরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান নিজস্ব মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। শার্দূল, দীপক কিংবা স্যাম-মঈন-জাদেজা-কেউই তেমন দাগ কাটতে পারেননি। ওপেনিং জুটিতেই দু’জনে যোগ করেন ১৩৮ রান। এরপর ১৩.৩ ওভারে ব্র্যাভোর বলে যখন পৃথ্বী আউট হন, তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৮ বলে ৭২ রান। ৫৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে শিখর আউট হলেও তাতে দিল্লির জয় আটকায়নি। অধিনায়ক ঋষভ এবং হেটমেয়ার দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন।