রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ৯২/১০ (পাড়িক্কল-২২, বরুণ-১৩/৩, রাসেল-৯/৩)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ৯৪/১ (গিল-৪৮, চাহাল-২৩/১)
৯ উইকেটে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনি-ভিদি-ভিসি। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। কোহলির সঙ্গে মর্গ্যানের লড়াই যে এতখানি একপেশে হবে, তা হয়তো কল্পনাও করা যায়নি। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে একেবারে তছনছ হয়ে গেল ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং অর্ডার। হাসতে হাসতে দ্বিতীয় পর্বের অভিযান শুরু করল কিং খানের কেকেআর।
চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বটা বিরাট কোহলিদের জন্য যতটা উত্তেজনায় ভরপুর ছিল ততটাই ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল নাইট শিবির। লিগ তালিকার তিন নম্বরে থাকা আরসিবি তাই সোম-সন্ধেয় ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল। কিন্তু কোথায় কী! কোথায় সেই প্রথম পর্বের ছন্দ। নিজেদের বিগত বছরগুলোর স্মৃতিই যেন ফেরালেন কোহলিরা। শুরুতেই ব্যাঙ্গালোরের টপ-অর্ডারে ধস নামান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রাসেলরা। নাইট বোলিংয়ের সামনে কোহলি থেকে ডেভিলিয়ার্স- তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরা টিকতেই পারলেন না। রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুরুতে ঠিক একই হাল হয়েছিল চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু একা ঋতুরাজই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তবে এদিন তেমন কিছুই হল না। ধোনির মতো টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হল আরসিবিকে। তিনটি করে উইকেট তুলে নেন রাসেল ও বরুণ।
[আরও পড়ুন: সংবাদ প্রতিদিন-এর খবরে সিলমোহর, নভেম্বরে ইডেনে ফিরছে ক্রিকেট, ঘোষিত ২০২১-২২-এর সূচি]
উলটো দিকে আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করেই বাজিমাত কেকেআরের। গত পর্বে সাতটার মধ্যে পাঁচটাতেই হেরেছে নাইটরা। এই পরিস্থিতি থেকে নকআউটে পৌঁছনো যে অত্যন্ত কঠিন, তা বেশ ভালই জানেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ। কিন্তু বিনাযুদ্ধে হাল ছাড়ার পাত্র নন তিনি। সেটাই আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন। আর ক্যাপ্টেনের মর্যাদা রাখলেন সতীর্থরা। ৪৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ওপেনার গিল। কেকেআরের ওই একটাই উইকেট ফেলতে পারে আরসিবি। তাই দিনের শেষে ৯ উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলল শাহরুখের দল।
রবিবারই বিরাট কোহলি জানিয়েছেন, এবারই অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শেষ আইপিএল। তাই অন্তত এবার ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া তিনি। কিন্তু শুরুটা যা হল, তাতে যে কোহলি একেবারেই সন্তুষ্ট হবে না, তা বলাই বাহুল্য।