রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭১/৩ (সঞ্জু ৪২, বাটলার ৪১, চাহার ২/৩৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.৩ ওভারে ১৭২/৩ (ডি’কক ৭০*, ক্রুণাল ৩৯, মরিস ২/৩৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সাত উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারের পর ফের জয়ে ফিরল পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কুইন্টন ডি’ককের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে রাজস্থানকে সাত উইকেটে হারাল রোহিত শর্মার দল। ২০ ওভারে সঞ্জু স্যামসনরা করেছিলেন ১৭১ রান। ৯ বল বাকি থাকতেই মুম্বই ম্যাচ জিতে নেয়। ৫০ বলে ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কুইন্টন।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু শুরুটা বেশ ভালই করেন রাজস্থানের দুই ওপেনার জোস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল। ওপেনিং জুটিতে দু’জনে ৬৬ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত ৩২ বলে ৪১ করে আউট হন জোস বাটলার। এরপর যশস্বী এবং সঞ্জু ইনিংসের হাল ধরেন। তবে ২০ বলে ৩২ করে আউট হন যশস্বী। শেষদিকে অধিনায়ক সঞ্জু এবং শিবম দুবের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যেই ১৭০ রানের গণ্ডি পার করে রাজস্থান। সঞ্জুর সংগ্রহ ২৭ বলে ৪২ এবং শিবম করেন ৩১ বলে ৩৫ রান। মুম্বই বোলারদের রাহুল চাহার দু’উইকেট পান।
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন, বিপুল টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি মডেলের]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য অধিনায়ক রোহিতের উইকেট হারায় মুম্বই। মাত্র ১৪ রান করে আউট হন ‘হিটম্যান’। অল্প রানে ফেরেন সূর্যকুমার যাদবও (১৬)। তবে আরেক ওপেনার ডি’কক এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়া মুম্বই ইনিংসের হাল ধরেন। মূলত এই জুটিই মুম্বইকে ম্যাচে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়। দু’জনে মিলে গুরুত্বপূর্ণ ৬৩ রান যোগ করেন। শেষদিকে ক্রুণাল ২৬ বলে ৩৯ রান করে আউট হলেও কায়রন পোলার্ডকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইকে জয় এনে দেন ডি’কক। ৫০ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মারেন ৬টি চার ও ২টি ছয়। শেষপর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় মুম্বই। এর ফলে টুর্নামেন্টের তৃতীয় জয় পেল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।