চেন্নাই সুপার কিংস: ২০২/২ (ঋতুরাজ-৯৯, কনওয়ে-৮৫*, নটরাজন-৪২/২)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮৯/৬ (উইলিয়ামসন-৪৭, পুরান-৬৪*, মুকেশ-৪৬/৪)
১৩ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটের ডিকশনারিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি আর মিরাকল যেন সমার্থক। তিনি থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়। কখনও হেলিকপ্টার শটে তো কখনও মগজাস্ত্রে পরিস্থিতি বদলে দিতে সিদ্ধহস্ত তিনি। চলতি আইপিএলে ফিনিশার ধোনিকে পাওয়া গেলেও দলে সেই মগজাস্ত্রের অভাব ছিল স্পষ্ট। তাই তো উইকেটকিপার-ব্যাটার থেকে অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেই ফের চাঙ্গা দল। সেই চেনা চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্সই আজ দেখতে পেলেন পুণে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ বলছিলেন, এখান থেকে গ্রুপ পর্বের বাকি ছ’টা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা আছে একমাত্র ধোনিরই। তাঁর জাদুমন্ত্রেই অসাধ্যসাধন হতে পারে। বীরু যে খুব একটা ভুল বলেননি, তা বলে দিচ্ছে এদিনের ম্যাচের ফলই। জাদেজার নেতৃত্বে বারবার মুখ থুবড়ে পড়া দলের আজ বডি ল্যাঙ্গুয়েজে আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। তাই তো টসে হেরেও প্রথমে ব্যাট করে দুরন্ত ফর্মে থাকা হায়দরাবাদকে চাপে ফেলে দিলেন ঋতুরাজ ও কনওয়ে। ছ’টি ছক্কা ও ছ’টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫৭ বলে ৯৯ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গ দিলেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। তাঁর চোখ ধাঁধানো ইনিংস সাজানো ছিল চারটি ছক্কা ও আটটি চার দিয়ে। এদিন ধোনি রান না পেলেও ওপেনিং জুটির সৌজন্যেই দুশোর গণ্ডি পার করতে সফল হয় দল।
[আরও পড়ুন: গ্যালারিতে গার্লফ্রেন্ড! মাঠে নয়া রেকর্ডের মালিক ‘প্রেমিক’ পন্থ, দেখুন ছবি]
বাকি কাজটি করলেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। ধোনির মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে একের পর এক উইকেট ঝুলিতে ভরে উইলিয়ামসন বাহিনীকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেন মুকেশ চৌধুরী। ইনিংসের শুরুটা অবশ্য মন্দ করেনি হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যান ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। তবে ৩৯ রানে অভিষেক আউট হওয়ার পর ধীরে ধীরে ধস নামে হায়দরাবাদ ব্যাটিং অর্ডারে। শেষে পুরানের চোয়াল চাপা লড়াইও কাজে দিল। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ তিনি। হাজার হোক, উলটো দিকের দলটার অধিনায়ক যে ধোনি।
লিগ তালিকার চার নম্বরে থাকা দলকে হারিয়ে অক্সিজেন পেল চেন্নাই শিবির। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। প্লে অফে পৌঁছতে হলে বাকি ম্যাচগুলো জিততে তো হবেই, সেই সঙ্গে অন্য দলের ফলাফলের দিকেও চোখ রাখতে হবে চেন্নাইকে। আজকের ম্যাচ শেষে ধোনির কাছে সিএসকে ভক্তদের যেন একটাই আক্ষেপ, কেন আরও একটু আগে অধিনায়ক হিসেবে ফিরে এলেন না!