চেন্নাই সুপার কিংস: ২২৬/৬ (কনওয়ে-৮৩, দুবে-৫২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ২১৮/৮ (ডু প্লেসি-৬২, ম্যাক্সওয়েল-৭৬, দেশপাণ্ডে- ৪৫/৩)
৮ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়। কেন চেন্নাই বনাম ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল চিন্নাস্বামী। একে অপরকে টপকে যাওয়ার অদম্য লড়াইয়ের সাক্ষী রইলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তুখোড় মগজাস্ত্র আর বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni), নাকি দুরন্ত ছন্দে থাকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আরও একবার চমকে দেবেন ঘরের মাঠের সমর্থকদের? এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই আজ সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এসে মিশেছিল চিন্নাস্বামীতে। কিন্তু বোলিং চেঞ্জ থেকে ফিল্ডিং সাজানো, সবেতেই নিজেকে আরও একবার সেরা প্রমাণ করে ফ্যাফ ডু প্লেসিদের শেষ হাসি কেড়ে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। চোটের জন্য তাঁর আজ খেলা নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। তবে সমর্থকদের নিশ্চিন্ত করে নেমে পড়েন মাঠে। ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন হয়নি ধোনির (১*)। তবে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্বের পাশাপাশি দুরন্ত দু’টি ক্যাচ ধরে আরসিবিকে চাপে ফেলে দেওয়ার কাজটি করেন তিনিই।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল, দেখুন ছবি]
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের (CSK) অন্যতম ভরসা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় তিন রানেই আউট হয়ে যান। কিন্তু আরসিবি বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন ডেভন কনওয়ে। ৪৫ বলে ৮৩ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন তিনি। কিউয়ি ব্যাটার ফিরলে চেন্নাইকে বিরাট রানে পৌঁছে দেন অজিঙ্ক রাহানে (৩৭) ও শিবম দুবে (৫২)। ২২৭ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে নামলে এমনিতেই মনোবল ধরে রাখা যে কোনও দলের পক্ষে কঠিন। কিন্তু রান রেট ধরে রেখে একটা সময় নিজেদের দিকেই ম্যাচের রাশ ধরে রেখেছিল আরসিবি।
বিরাট (৬) এদিন ব্যর্থ। তবে অধিনায়ক ডু প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলের মারকাটারি ইনিংসেই জমে যায় খেলা। ক্রিজে জাঁকিয়ে বসা ম্যাক্সওয়েলের আউট হওয়াটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়। দীনেশ কার্তিক (২৮) এরপর খানিকটা চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। আট রানে ম্যাচ পকেটে পোরে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১১ সালে আরসিবিকে হারিয়েই ফাইনাল জিতেছিলেন ধোনিরা। আর এদিনের হারে প্লে অফের দৌড় আরও খানিকটা কঠিন হল কোহলিদের জন্য।