আরসিবি: ১৮১-৪ (কোহলি ৫৫, লোমরোর ৫৪)
দিল্লি: ১৮৭-৩ (সল্ট ৮৭, রুসো ৩৫)
দিল্লি ক্যাপিটালস ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে নজির গড়লেন বিরাট কোহলি। প্রথম ব্যাটার হিসাবে পেরলেন ৭ হাজার রানের গণ্ডি। অথচ, জিততে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মরশুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যা দেখে দেখে আরসিবি সমর্থকরা অভ্যস্ত, সেটাই হল। শুরুতে ফ্যাফ-বিরাটদের (Virat Kohli) ভাল ব্যাটিং। কিন্তু ভাল ফিনিশার এবং বোলারদের অভাবে শেষে হার। এদিনের হারের ফলে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালমতো ধাক্কা খেল বেঙ্গালুরুর দলটি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে যায় আরসিবি। শুরুটা প্রত্যাশিতভাবেই ভাল হয়। ওপেনিং জুটিতেই ফ্যাফ এবং বিরাট তুলে ফেলেন ৮২ রান। ফ্যাফ ৪৫ এবং বিরাট ৫৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। নিজের ঘরের মাঠে অবিরাম কোহলি-কোহলি চিৎকারের মাঝে নতুন মাইলফলকও ছুঁলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ব্যাটার হিসাবে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। বিরাটের নজিরের দিন নজর কাড়লেন তরুণ মাহিপাল লোমরোরও। ২৯ বলে ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন তিনি। ২০ ওভারে RCB করল ৪ উইকেটে ১৮১।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ট্রেনে নিরাপত্তারক্ষীর দেখা নেই, চোরকে চাদরে বেঁধে শিয়ালদহে আনল যাত্রীরা!]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলে দিল্লি (Delhi Capitals)। ডেভিড ওয়ার্নার এবং ফিল সল্টের জুটি ৫ ওভারেই তুলে দেয় ৬০ রান। ওয়ার্নার ২২ রানে আউট হলেও সল্ট এদিন অন্য মুডে ছিলেন। হাসারাঙ্গা থেকে হ্যাজেলউড, কোনও আরসিবি বোলারকেই এদিন রেয়াত করলেন না তিনি। মূলত তাঁর মারকুটে ইনিংসই ম্যাচটাকে একপেশে করে দিল। ৪৫ বলে ৮৭ রান করে তিনি যখন আউট হলেন, ততক্ষণে দিল্লির জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শেষমেশ, ২০ বল বাকি থাকতেই টার্গেট পৌঁছে যায় দিল্লি।
[আরও পড়ুন: ছিটকে যাওয়া লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে লখনউ নিল টেস্ট ক্রিকেটারকে, কে তিনি?]
এই বড় ব্যবধানে জয় দিল্লিকে পুরদস্তুর প্লে-অফের লড়াইয়ে ফিরিয়ে দিল। একটা সময় টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে যে দল সবদিক অন্ধকার দেখছিল, শেষ পাঁচ ম্যাচে তাঁরাই ৪টি জিতল। অন্যদিকে আরসিবির (RCB) প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা এদিনের হারে বেশ ধাক্কা খেল।